Viral News: মিষ্টির প্রতি আসক্তি, বাজারের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তরুণী! তার পর....
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
মাত্র ২১ বছর বয়স থেকেই এম জে চিনির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন।
#লন্ডন: বহু দিন ধরেই চিনির নেশায় বুঁদ হয়েছিলেন লিভারপুলের উইন্ট্রিতে (Liverpool, Wintree) বসবাসকারী ২৬ বছর বয়সী এম জে (Em J)। সেই সময় চিনির প্রতি এম এতটাই আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন যে, তিনি মিষ্টি এবং কোল্ডড্রিঙ্কস ছাড়া কিছুই খেতেন না। মাত্র ২১ বছর বয়স থেকেই এম জে চিনির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় থেকেই ওই তরুণী মিষ্টি জিনিসের প্রতি খুবই আসক্ত ছিলেন।
এম জে তাঁর ঘরের বিভিন্ন আলমারিতে কোল্ডড্রিঙ্কের বোতল লুকিয়ে রাখতেন। এর ফলে কম বয়সেই তরুণীর দেহের ওজন বাড়তে শুরু করে। এর ফলে তাঁর শরীরের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মুখও ফুলে যেতে থাকে। এম জে-র চেহারার অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে যায় এবং তাঁকে বয়সের তুলনায় অনেকটাই বয়স্ক বলে মনে হতে থাকে। কিন্তু বাবার সাহায্য নিয়ে তিনি আবার আগের জায়গায় ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছেন। ওই তরুণীর বাবা স্টিফেনের অনুপ্রেরণাতেই চিনির নেশা থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন তিনি। স্টিফেন এখন বেঁচে না-থাকলেও, এম জে সব সময় তাঁকে স্মরণ করেন।
advertisement
advertisement
চিনির নেশা ছাড়ার পরেই বদলে যায় জীবন:
বাড়তি ওজনের কারণে এম জে ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন। এম জে-র শরীরের অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটা বুঝতে পারেন তখন, যখন তিনি বাজারের মধ্যে বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিলেন। এর পর ওই যুবতী তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে যান এবং তার ডায়েট থেকে চিনিকে দূরে সরিয়ে রাখেন। এম জে তখন চিনির বদলে অন্য কোনও বিকল্প খুঁজতে শুরু করে দেন। সুগার ফ্রি ডায়েট শুরু করার পরে এম জে নিজের এনার্জি ফিরে পান, সেই সঙ্গে তাঁর শরীরের ওজনও কমতে শুরু করে। নিজের ওজন নিজেই কমানোর ফলে এম জে-কে টিভিতে ওয়েট লস অনুষ্ঠানে অতিথি রূপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
advertisement
বাবা-ই আসল প্রেরণা:
প্রতিদিন ৫-৬ বোতল কোল্ড ড্রিঙ্ক খেতেন এম জে। পরে চিনির বদলে সুগার ফ্রি ডায়েট করা শুরু করে। এ ছাড়া প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা হাঁটার ফলে তিনি রিল্যাক্সড অনুভব করেন। এর জন্য স্টিফেনই তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গিয়েছেন। বাবা তাঁকে অনেক সাহায্য করেন এবং তাঁর সাহসও বাড়িয়ে দেন। নিজের মেদ ঝরিয়ে আরও সু্ন্দরী হয়েছেন এম জে, এখন যে কোনও সুন্দরী মডেলকেও টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি। এম জে মনে করেন, এই সাফল্যের পিছনে তাঁর বাবা স্টিফেনেরই আসল অবদান রয়েছে।
view commentsLocation :
First Published :
February 24, 2022 12:38 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Viral News: মিষ্টির প্রতি আসক্তি, বাজারের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তরুণী! তার পর....