North 24 Parganas News: যশোর রোডের দুপাশ ঘিরে, দত্তপুকুরের ফাইবার শিল্প ক্রমেই হয়ে উঠছে জনপ্রিয়

Last Updated:

দত্তপুকুরের নরসিংহপুর এলাকাতে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের দুই ধারে একাধিক ফাইবার কারখানা অবস্থিত। যেখান থেকে দেশ বিদেশে রপ্তানি হয় নানা মূর্তি।

উত্তর ২৪ পরগনা: মাটির তৈরি মূর্তির পাশাপাশি দিন দিন চাহিদা বাড়ছে চটকদার ও টেকসই ফাইবার কাস্টিং মূর্তির। তাই যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে অনেকেই ঝুঁকছেন ফাইবারের মূর্তি তৈরিতে। ফলে অনেক মৃৎশিল্পী এখন মাটির বদলে ফাইবার দিয়েই ফুটিয়ে তুলছেন তাদের শিল্পকর্ম। মৃতশিল্পীদের এমন কর্মপদ্ধতি বদলের ছবি দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনা দত্তপুকুরে। সিনেমা শিল্পের আঁতুরঘর বলিউড, হলিউড, টলিউড সব জায়গাতেই ব্যবহৃত হচ্ছে ফাইবারের তৈরি এই চটজলদি সেট।
এই ধরনের ফাইবারের তৈরি মডেল ওজনেও হালকা হয় তেমনি আবার জল, রোদে নষ্টও হয়না। তাই যেকোন বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি ছবিতে যে সেট সেটিং দেখা যায় তা পুরোটাই এই ফাইবার নির্ভর। এর ফলে কলকাতা বা মুম্বাইতে শুটিং করে, দেখিয়ে দেওয়া যায় বিদেশের কোন প্রাসাদ বা ঐতিহাসিক স্থানের হুবহ রূপ। তবে এই পদ্ধতির শুরুটা হয়েছিল দক্ষিণ ভারতে।
advertisement
advertisement
বর্তমানে দত্তপুকুর তা অনুসরন করে চলেছে। এই দত্তপুকুর থেকেই অর্ডার অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে ফাইবারের মডেল। শুধু দেশ নয়, বিদেশেও পৌছে যাচ্ছে দত্তপুকুরের কারিগরের বানানো বিভিন্ন ফাইবারের তৈরি মডেল, সেট। আমেরিকা, দুবাই, থাইল্যান্ড থেকে বেশি অর্ডার হয় বলেও জানান দত্তপুকুরে অবস্থিত ফাইবার মডেল তৈরির কারখানার মালিকেরা।
advertisement
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বাজার মন্দা হয়ে পড়লেও, বর্তমানে আবারও ফাইবার শিল্পের রমরমা বেড়েছে দত্তপুকুরে। দত্তপুকুরের নরসিংহপুর এলাকাতে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের দুই ধারে একাধিক ফাইবার কারখানা অবস্থিত। কিন্তু কিভাবে তৈরি হয় এই ফাইবারের তৈরি মডেল বা ছবির সেট সেটিং? প্রথমে কাঠামো তৈরি করে তাতে বিচালি দিয়ে বেধে তারপর মাটি দিয়ে তৈরি হয় ডাইস। এরপর সেই ডাইসে ফাইবার গলিয়ে ঢেলে দিলেই তৈরি বিভিন্ন মডেল।
advertisement
যেকোন অনুষ্ঠান বাড়িতে গেট থেকে দেব দেবীর মূর্তি, মুনি ঋষিদের মুর্তি, এমনকি কোন রাজবাড়ি বা প্রাসাদ সবটাই তৈরি হয় একই পদ্ধতিতে। সামনেই আসছে দুর্গা পুজোয়, বিদেশেও যেতে পারে প্রতিমা বলে আশাবাদী দত্তপুকুরের ফাইবার শিল্পীরা। শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি পর্বও। এই এলাকা থেকেই আগে মাটির তৈরি দুর্গা বিদেশে পাড়ি দিতো। তবে এখন ফাইবারের দুর্গার চাহিদাই বেশি।
advertisement
ফাইবারের সুবিধা হল, এটা পার্ট পার্ট করে প্যাকিং করে নিয়ে যাওয়া যায়, নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। ২৫-৩০ বছর ধরে দত্তপুকুরে এই ফাইবার কারখানাগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে গত ১৫-১৬ বছর ধরে বেশি চলছে কারখানা। স্বাভাবিক ভাবেই সেক্ষেত্রে কারখানার পরিমানও আগের তুলনায় ঢের বেড়েছে। বেশিরভাগ শ্রমিকরাই হ্যায়দ্রাবাদ, চেন্নাই থেকে কাজ শিখে এসে এই কাজ করছেন দত্তপুকুরে।
advertisement
রামোজি ফ্লিম সিটির অধিকাংশ মডেলই তৈরি হয় ফাইবার দ্বারা। ফাইবার যেকোন ছবির শ্যুটিংয়ে যেমন ব্যবহার করা হয় তেমনই পার্কে বিভিন্ন পশু পাখি স্টাচু তৈরি হয়।পাশাপাশি ফাইবার দিয়েই দেব দেবীর মূর্তি, মানুষের মূর্তি সহ পুজোর মন্ডপও তৈরি হচ্ছে এই ফাইবারে। সবমিলিয়ে ফাইবার শিল্পকে ঘিরেই নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন শিল্পীরা। ‌‌
advertisement
Rudra Narayan Roy
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর ২৪ পরগণা/
North 24 Parganas News: যশোর রোডের দুপাশ ঘিরে, দত্তপুকুরের ফাইবার শিল্প ক্রমেই হয়ে উঠছে জনপ্রিয়
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement