BJP West Bengal: কোণায় কোণায় দলের সংগঠন, ত্রিপুরার ভোট প্রচারে গিয়ে 'লজ্জায় রাঙা' রাজ্য বিজেপি
- Published by:Debamoy Ghosh
- Written by:ARUP DUTTA
Last Updated:
'সংগঠন কাকে বলে ত্রিপুরায় গিয়ে দেখে এলাম' - অগ্নিমিত্রা পল, বিধায়ক ও সাধারন সম্পাদক, রাজ্য বিজেপি
কলকাতা: ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনে প্রচার করতে গিয়ে অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি। প্রতিবেশী ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে মাত্র ৫ বছর। কিন্তু, রাজ্যের কোনায় কোনায় দলের সংগঠনের বিস্তার দেখে লজ্জায় পড়ে গিয়েছে এ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব।
সম্প্রতি, প্রথম দফার প্রচার সেরে রাজ্যে ফিরেছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ত্রিপুরা কেমন দেখলেন এই প্রশ্নের জবাবে অগ্নিমিত্রা বলেন, ''কোনও লজ্জা নেই বলতে, ত্রিপুরা গিয়ে দেখে এলাম সংগঠন কাকে বলে!"
advertisement
advertisement
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট। দলের রীতি অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরার ভোট প্রচারে এ রাজ্য থেকে ৩০ বিধায়কের তালিকা তৈরি করেছিল রাজ্য বিজেপি। সেই তালিকা ধরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে অগ্নিমিত্রা পালেরা পালা করে ত্রিপুরা যাচ্ছেন ভোটের প্রচারে। প্রচারের জন্য অগ্নিমিত্রার জন্য বরাদ্দ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কেন্দ্র বড়দোয়ালি। একক ভাবে প্রচারের পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে একমঞ্চে সভা করেছেন অগ্নিমিত্রা।
advertisement
ত্রিপুরা নির্বাচনে প্রচার করতে গিয়ে যেটা সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে রাজ্য বিজেপির নেতাদের, তাহল ত্রিপুরায় দলের সংগঠন। অগ্নিমিত্রার কথায়, ''আমাদের তুলনায় ত্রিপুরাতো কিছুই না। মাত্র ৬০ টা আসনের বিধানসভা। কিন্তু, রাজ্যের কোনায় কোনায় পৌঁছে গিয়েছে দলের সংগঠন। প্রচারে বেরিয়ে দেখলাম, প্রতিটি এলাকায় তৈরি দলের নির্বাচনী অফিস। টিনের চালে কমলা রঙের পোঁচ। ছোট্ট অফিসের চারপাশে দলীয় পতকায় সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন দলের কর্মীরা। আমাদের এখানে একটা মণ্ডল কমিটির বৈঠকে কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না। আর, ওদের ওখানে দেখে এলাম বুথ কমিটির বৈঠকে ঘর ভর্তি কর্মী। সংগঠন কাকে বলে, ত্রিপুরায় গিয়ে দেখে এলাম।"
advertisement
অগ্নিমিত্রার কথা শুনে দলের এক রাজ্য নেতা মুচকি হেসে বললেন, ''এটা কি নিছকই আত্মসমালোচনা? নাকি এই সুযোগে রাজ্য নেতৃত্বকেও নিশানা করলেন বিজেপির 'অগ্নিকন্যা' অগ্নিমিত্রা?"
পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৪ থেকে রাজ্যে দলকে শক্তিশালি করতে অমিত শাহ থেকে জে পি নাড্ডা, রামলাল থেকে সন্তোষরা চেষ্টার কসুর করছেন না। নিয়ম করে প্রতিটি সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বকে বুথ সংগঠনে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু, ২৪- এর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্বের বৈঠকেও সুনীল বনশাল, মঙ্গল পান্ডে কিম্বা আশা লাকড়ার মতো কেন্দ্রীয় নেতারা ক্রমশই হতাশ হয়ে পড়ছেন রাজ্যের তৃণমূল স্তরের সংগঠনের হাল দেখে। সেখানে, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরায় দলের সংগঠন এ রাজ্যকে পেছনে ফেলে দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে। এই কারণেই বোধহয় ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারে আর এ রাজ্য বিরোধী দলের খাতায় নাম লেখাতে হয় বিজেপিকে।
advertisement
রাজনৈতিক মহলের মতে, এর পিছনে সেই রাম বাম তত্ত্বেরই ছায়া। ত্রিপুরায় দীর্ঘ দিনের বাম জামানার অবসান হয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে বাম থেকে রামে পালা বদলের কারণে। ফলে, বাম নেতা কর্মীদের রাজনৈতিক রং লাল থেকে গেরুয়ায় বদল হলেও, সাংগঠন নির্ভরতায় কোনও ভাঁটা পড়েনি।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Other India
First Published :
February 01, 2023 9:17 AM IST