সেকালের ধুঁধুঁলের ছোবড়াই একালের লুফাহ৷ রঙ বেরঙের লুফাহ সাজানো থাকে সব স্নানঘরেই৷ স্নানবিলাসীদের বিশ্বাস, লুফাহ দিয়ে গা ঘষলে ভাল পরিষ্কার হয়৷ ত্বক এক্সফোলিয়েট করে (exfoliation of skin)৷ কিন্তু জানেন কি লুফাহ আবার নানারকম জীবাণু ও ছত্রাকের বাসভূমি হয়ে উঠতে পারে৷ ত্বকের উপর যে কোনও প্রভাব বা সংক্রমণ এড়াতে লুফাহ-র যত্ন নিতে হবে৷ ঠিক যেমন আমরা টুথব্রাশের খেয়াল রাখি, সেরকমই (taking care of loofah)৷
আরও পড়ুন : শীতে উৎসবের মরশুমে নিয়ন্ত্রণে রাখুন রক্তচাপ
ব্যবহারের পর আমরা সাধারণত ভিজে লুফাহ বাথরুমেই টাঙিয়ে রাখি৷ সে সময় ভিজে লুফাহতে জন্মায় জীবাণু৷ স্নানের পর রোদে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে লুফাহকে৷ প্রতি বার ত্বকে নতুন করে ব্যবহার করার আগে এক বার ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে নিতে হবে লুফাহকে৷ এভাবে ব্যবহার করলে সাবানের ফেনা প্রচুর তৈরি হবে৷ তাছাড়া শুকনো লুফাহ ব্যবহার করার ফলে ত্বকে সংক্রমণও দেখা দিতে পারে৷
আরও পড়ুন : বছরশেষের ছুটিতে ভুরিভোজ সত্ত্বেও ওজন নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
প্রতি তিন থেকে চার সপ্তাহ পর পর টুথব্রাশের মতো বদলাতে হবে লুফাহ-ও৷ শরীরের কোনও অংশ শেভ করলে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে লুফাহ ব্যবহার করবেন না৷ নয়তো ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিয়ে তা শেষ অবধি যন্ত্রণাদায়ী ফোস্কায় পরিণত হতে পারে৷
আরও পড়ুন : ড্রাই স্ক্যাল্প, চুল পড়া এবং অকালপক্বতা কমবে এই জাদুতেলে, বাড়িতেই তৈরি করুন সোজা উপায়ে
বাজারে হরেক রকমের লুফাহ পাওয়া যায়৷ তার মধ্যে প্লাস্টিকের লুফাহ-ই সবথেকে বেশি প্রচলিত৷ কিন্তু প্লাস্টিকের সংস্পর্শে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে৷ তাই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করুন সি স্পঞ্জ৷ প্রাকৃতিক স্পঞ্জে কোনওরকম রং বা রাসায়নিক থাকে না৷ বরং কিছু স্পঞ্জে থাকে ব্যাকটিরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম উৎসেচকও৷ ফলে ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ৷ ত্বকে লুফাহ-র আলতো স্পর্শে মালিশের ফলে রক্ত চলাচল মসৃণ হয়৷ স্নানের সময় লুফাহ-র উপর শাওয়ার জেল বা তরল সাবান দিয়ে ত্বক ঘষলে মৃত কোষ ঝরে পড়ে যায়৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Loofah