সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Centers for Disease Control and Prevention) একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে নিজস্ব স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখলে বেশ কিছু রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শুধু অসুস্থতা এবং জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জরুরি নয়, এটি স্বাস্থ্যজনিত এবং সামাজিক কারণেও অপরিহার্য। যেমন নিয়মিত জল এবং সাবান দিয়ে হাত ধুলে অনেক অসুস্থতাকে দূরে রাখা যায়, তেমনই নিয়মিত স্নানে শরীরের দুর্গন্ধ দূর হয়। যা কর্মক্ষেত্রে অথবা স্কুলের কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতিকে এড়াতেও সাহায্য করে৷
স্বাস্থ্যবিধি হল স্বাস্থ্য ঠিক রাখার দুই-তৃতীয়াংশ উপায়, তাই মানুষের এই মৌলিক চাহিদা নিয়মিত মেনে চলা উচিত। কিন্তু অনেকেই এটি উপেক্ষা করেন। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি রুটিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না জানলেই নয়। যা নিজেকে এবং প্রিয়জনকে নিরাপদ এবং সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন : শীত এলেই অ্যালকোহলে চুমুক? জানুন আসলে কোন পানীয় ঠান্ডা থেকে আমাদের রক্ষা করে
শরীরের স্বাস্থ্যবিধি
প্রতিদিন স্নান করার সময়ে সাবান দেওয়া, সপ্তাহে অন্তত দু'বার চুল ধোয়া এবং পরিচ্ছন্ন কাপড় পরলে ত্বকের সমস্যা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। নিজেকে সতেজ এবং পুনরুজ্জীবিত রাখতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা যায়। যার ফলে গায়ে কোনও নোংরা গন্ধ থাকবে না। শরীরে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে। একইভাবে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এড়াতে স্নান করার সময় চোখ এবং কানের আশেপাশের জায়গাগুলিকে পরিষ্কার করা উচিত।
আরও পড়ুন : কেক তৈরি থেকে গ্যাসের আভেন পরিষ্কার, কমলালেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করুন নানা কাজে
দাঁতের যত্ন
কথার বলার সময় মুখের দুগর্ন্ধ কেউ পছন্দ করে না৷ তাই দাঁতের স্বাস্থ্যবিধি ঠিক না থাকলে যে কোনও কথোপকথন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে মুখ ও দাঁতের সঠিক যত্ন নিলে মাড়ির রোগ, দাঁত ব্যথা এবং হালিটোসিস প্রতিরোধ করা যায়৷ এমনকি আমরা যা কিছু খাই অথবা পান করি তা শুধু মুখের মধ্যে দিয়ে পাকস্থলীতে পৌঁছায় বলে দাঁতের স্বাস্থ্যবিধি ঠিক না থাকলে মুখে সংক্রমণ হতে পারে যা থেকে পরে হার্টের ভালভ এবং মস্তিষ্কে জীবাণু যেতে পারে। তাই জলখাবার এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে দিনে দু'বার ব্রাশ করতে হবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷ পাশাপাশি দাঁত মাজার ব্রাশ পরিষ্কার ও শুকনো জায়গায় রাখা উচিত এবং কয়েক মাস বাদে বাদেই ব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে।
আরও পড়ুন : ঘরোয়া ক্রিসমাস পার্টিতে কীভাবে সাজাবেন টেবিল? রইল সহজেই কিস্তিমাতের টিপস
ঠিকমতো হাত ধোওয়া
অতিমারীর ফলে আমাদের মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যেস বেড়েছে৷ সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদানে মিশ্রিত হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়া উচিত, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার আগে বা রান্না করার আগে, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার পরে এবং পোষ্য কুকুর বা বিড়ালকে আদর করার পরে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে৷ কারণ হাত হল জীবাণুর সবচেয়ে বড় বাহক। তাই হাত পরিষ্কার রাখলে ঠাণ্ডা, ফ্লু এবং গ্যাসট্রোইনটেরাইটিসের মতো অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়৷
নখের পরিচ্ছন্নতা
দৈনন্দিন ব্যক্তিগত যত্ন এবং স্বাস্থ্যবিধিতে নখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতের নখ এবং পায়ের নখ যাতে ভালোভাবে কাটা হয় এবং ভালো অবস্থায় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যার ফলে হ্যাংনেল এবং নখের সংক্রমণের মতো সমস্যাগুলি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অপরিষ্কার হাত, নোংরা নখ শুধুমাত্র শরীরের অভ্যন্তরে জীবাণু এবং সংক্রমণ ছড়াতে পারে না, অন্যদের দৃষ্টিও আকর্ষণ করবে যা সামাজিকভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করে দেয়। একইভাবে পায়ের পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখা উচিত৷
আসলে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা কোনও কঠিন ব্যাপার নয়, এটি শুধু নিজের যত্ন নেওয়া মাত্র৷ নিরাপদ ও সুরক্ষিত জীবনের জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা খুবই জরুরি৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bathing, CDC, Personal Hygiene