হোম /খবর /কলকাতা /
'আমি ভাল পরিবারের মেয়ে, আমার সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে!', আদালতে কাতর আর্জি অর্পিতার

Arpita Mukherjee ‍| Partha Chatterjee: 'আমি ভাল পরিবারের মেয়ে, আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে!', আদালতে দাঁড়িয়ে কাতর আর্জি অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের

'আমার সামাজিক সম্মান কি নষ্ট করা হচ্ছে না?' বললেন অর্পিতা। কেন? পড়ুন....

  • Share this:

কলকাতা: "আমি ভাল পরিবারের মেয়ে। আমার মা বৃদ্ধ। আমি মা কে ছেড়ে থাকছি। মায়ের পাশে আমার থাকা উচিত।" মঙ্গলবার আদালতে বিচারকের সামনে কাতর আর্তি জানালেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। অর্পিতার দাবি, তাঁর মতো একজন নির্দোষ মহিলাকে আটকে রেখে তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। বিচারকের সামনে অর্পিতা বলেন, "আট মাস নির্দোষ মহিলাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। আপনার কি মনে হয় না একজন মহিলাকে আটকে রেখে তার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে?" বিচারক অবশ্য তখনই অর্পিতাকে জানিয়ে দেন, তাঁর আইনজীবী এখনও তাঁর জামিনের আবেদন আদালতের সামনে রাখেননি। সেই আবেদন পেলে তিনি অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

এদিন আদালতে অর্পিতা দাবি করেন, জেলে তাঁর অত্যন্ত কষ্ট করে দিন কাটছে। শরীরও ভাল নেই। অর্পিতার দাবি, এই মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই। তা-ও তাঁকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ট্রেনে মোবাইল চার্জ দেন কি? জেনে রাখুন এই নিয়ম, নাহলে বিপদে পড়বেন

অন্যদিকে, এদিন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছেও তাঁর বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চান বিচারক। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমার পা ফুলে যাচ্ছে। জেলে বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না তবে জেলে সেই পরিকাঠামো নেই। ২৫০০ বন্দিকে দেখাশোনা করার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। আপনি এসে দেখবেন। আমার শরীর খুব খারাপ হচ্ছে।" পার্থর তরফে অবশ্য আগেই একটি মেডিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, "চিকিৎসায় যাতে অসুবিধা যাতে না হয় সেটা দেখব।" এরপরেই পার্থর স্বগতোক্তি, "মরেই যাই যদি! পা ফুলে ঢোল। তাহলে কি হবে বিচার করে কি লাভ?  আমি অনেক কিছু বলতে চাই।  মনে হচ্ছে আগের জন্মে আমি রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছি । আমি নিজে এসে বলতে চাই সবটা। আট মাসে কি হলো? আর কতদিন রাখবে?"

আরও পড়ুন: জামাকাপড় না পরেই ঘুরে বেড়ানো যায় এই পাঁচ জায়গায়! নেই আইনি বাধা, কোথায় সেই জায়গা জানেন কি?

এদিন পার্থ-অর্পিতা কারোরই জামিন হয়নি। নগর দায়রা ভবনের বিচারক বিদ্যুৎ কুমার রায় আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

ARPITA HAZRA

Published by:Satabdi Adhikary
First published: