Kolkata Air Pollution: কলকাতায় দূষণের অন্যতম কারণ নির্মাণ কাজ, গবেষণায় উঠে এল এমন তথ্যই

Last Updated:

নির্মাণ কাজ এবং বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে যে ধুলো বাতাসে মিশছে সেই ধূলিকণায় সবথেকে বেশি দূষণ ছড়াচ্ছে কলকাতার বাতাসে।

বিশ্বজিৎ সাহা, কলকাতা: কলকাতায় দূষণের অন্যতম কারণ নির্মাণ কাজ। কলকাতা প্রেস ক্লাবে এয়ার কোয়ালিটি লিডারশিপ, ওয়ার্কশপ ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল মিডিয়া শীর্ষক এক কর্মশালায় উঠে এল এই ধরনের তথ্য। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের আলোচনায় উঠে এলো গাড়ির ধোঁয়ার থেকেও এখন নির্মাণ কাজের দূষণ বিপজ্জনক হচ্ছে কলকাতায়।
গাড়ির ধোঁয়া পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছনে পড়ে রয়েছে জঞ্জাল পোড়ানো ও নির্মাণ কাজের নিরিখে। নির্মাণ কাজ ও বেআইনি বা পুরনো বাড়ি ভাঙার ধুলোয় শহরের বাতাস হয়ে উঠেছে বিষাক্ত। এমনটাই তথ্য তুলে ধরলেন পরিবেশ বিজ্ঞানী ও পরিবেশপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিরা।
কলকাতার বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে জঞ্জাল পোড়ানো এবং নির্মাণ কাজ সংক্রান্ত সামগ্রীর ধুলো। সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় তেমনটাই উঠে আসছে। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের তরফে বাতাসে গুণমান সংক্রান্ত এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এই মতামত তুলে ধরেছেন।
advertisement
advertisement
আলোচনায় উঠে এল কলকাতার দূষণের অন্যতম হটস্পট কোনগুলো?? প্রথমত নির্মাণ কাজ এবং ও বাড়ি ভাঙ্গার ক্ষেত্রে যে ধুলো বাতাসে মিশছে সেই ধূলিকণায় সবথেকে বেশি দূষণ ছড়াচ্ছে কলকাতার বাতাসে। দ্বিতীয়ত সরাসরি ফুয়েল পোড়ানো হচ্ছে এমন জায়গাগুলি সেক্ষেত্রে পথ চলতি অনেক রেস্তোরাঁ চায়ের দোকান-সহ বিভিন্ন জায়গায় এখনো কাঠ-কয়লায় উনুন ধরানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তার ধারে ফুটপাতে আয়রনের দোকানে কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। তৃতীয়ত যে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ জমছে সেখানেও পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আর তার ফলেই কলকাতা শহরের বাতাস দূষণে ভরে উঠছে।
advertisement
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং কলকাতা পুরসভার পরামর্শদাতা ডঃ অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুরসভার পরিবেশ দূষণের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে কলকাতা পৌরসভার-সহ প্রশাসনকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল শহরে বিভিন্ন জায়গায় সবুজ আরও বাড়াতে গাছ লাগানো। ২০২১ সালে প্রায় ৫০০০ গাছ লাগানোর কর্মসূচি নেয় কলকাতা পৌরসভা। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে শুরুতেই ময়লার পৃথকীকরণ বা সেগরিগেশন করার উপর জোড় দেওয়া। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হলেও সামগ্রিকভাবে সেই কাজ অনেকটাই ধীরগতিতে চলছে। ১৬ টি বরো-তে ১৬টি বৃহৎ কালেকশন সেন্টার করা। এ ছাড়াও পুরসভার বিভিন্ন বর্জ্য পরিবহণের গাড়িতে জিপিএস লাগানো। শুরু হলেও সেই কাজ এখনও শেষ করা হয়ে ওঠেনি।
advertisement
পরিবেশ বিজ্ঞানী দীপাঞ্জলি মজুমদার, আয়োজক বিনয় জাজু-সহ অনেকেই কলকাতা শহর রাজ্যের দূষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের আলোচনায় উঠে এসেছে, কলকাতার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বাতাসের গুণমান যথেষ্ট খারাপ। পার্ক স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, বাইপাস সংলগ্ন ধাপাকে এই গবেষণায় শহরের বায়ুদূষণের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে বাতাসের গুণমান সবথেকে খারাপ। তাই, জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা ও শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে নোংরা পোড়ানো বন্ধ করতে সরকারি কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেই আলোচনায় উঠে এসেছে।
advertisement
কলকাতা পুরসভাও যে পরিবেশ বাঁচাতে ও বাতাসের মান উন্নয়নে  নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাও এদিন তুলে ধরেন অভিজিৎবাবু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। তিনি বলেন, অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরের তুলনায় কলকাতায় বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটাই কমানো গিয়েছে। তবে, আমরা আরও নানা উদ্যোগ নিচ্ছি। শহরে সবুজায়নে জোর দিয়ে গাছ লাগানো। বিভিন্ন রাস্তার ধারে বানানো হচ্ছে ছোট ছোট গাছের বাফার জোন।
advertisement
চলতি বছরে জুন জুলাই মাসে বৃষ্টির অভাব কলকাতা শহরসহ একাধিক শহরতলিতে দূষণের মাত্রা বানাচ্ছি বলে মত প্রকাশ করেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৮ থেকে ২১ সালে গড়ে যে বৃষ্টি হয়েছে তার থেকে ২০২২ সালের জুন এবং জুলাই মাসের কয়েকটা দিনে ষাট শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে শহরে দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। একটি সমীক্ষায় জানা গেছে ১৯৯৮ সালে কলকাতা পশ্চিমবঙ্গে যে দূষণের মাত্রা ছিল তার থেকে ২০২২-এ দূষণের মাত্রা ৯০ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র কলকাতা শহরে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলে হবে না, সারা রাজ্যে এই পদক্ষেপ অবিলম্বে জরুরী বলেই মত প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ সমীক্ষায় তথ্য উঠে এসেছে সারা রাজ্যের মধ্যে বাঁকুড়া জেলা সবথেকে বেশি দূষণ প্রবণ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kolkata Air Pollution: কলকাতায় দূষণের অন্যতম কারণ নির্মাণ কাজ, গবেষণায় উঠে এল এমন তথ্যই
Next Article
advertisement
Bansuri Swaraj: 'মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও নির্যাতিতাকেই দোষারোপ করছেন!' মমতার সমালোচনায় সুষমা কন্যা বাঁশুরি
'মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও নির্যাতিতাকেই দোষারোপ!' মমতার সমালোচনায় সুষমা কন্যা বাঁশুরি
  • দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া অব্যাহত। এবার মুখ খুললেন বিজেপির সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে "লজ্জাজনক" ও "অগ্রহণযোগ্য" বলে মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত, বাঁশুরি স্বরাজ প্রয়াত বিজেপি নেত্রী ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কন্যা৷ 

VIEW MORE
advertisement
advertisement