Asthma: এবার কলকাতার হাসপাতালেই ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি, হাঁপানি থেকে মুক্তি চিরতরে

Last Updated:

১৪ মার্চ, ২০২২-এ কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে দু'জন রোগীর উপর ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি করা হয়েছিল। পদ্ধতির পরে রোগীরা স্থিতিশীল

#কলকাতা: দুর্গাপুরের বাসিন্দা বছর ৫০-এর সন্দীপ চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর হাঁপানির সমস্যায় আক্রান্ত। মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। করোনার সময় আতঙ্ক চরমে উঠেছিল! এমনকী বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনেও থাকতে হয় তাঁকে। কিন্তু তারপরও সমস্যার সমাধান হয়নি। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় আতঙ্কে ভুগতে থাকতেন সন্দীপবাবু। এই বুঝি চূড়ান্ত শ্বাসকষ্টের সমস্যা হল! কিন্তু সেই সন্দীপ চৌধুরীই এখন চিকিৎসকদের ম্যাজিকে অনেকটাই সুস্থ। ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি -র মাধ্যমে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট প্রায় নেই বললেই চলে। সন্দীপবাবু একা নন, অনন্ত মিত্র নামে আরও এক প্রবীণ কলকাতার বাসিন্দা ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টির প্রয়োগে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
কী এই ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি? গুরুতর হাঁপানির ক্ষেত্রে কার্যকরী চিকিৎসার জন্য এটি একটি ব্যথাহীন পদ্ধতি৷  এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়, সেটি উইন্ডপাইপের মাধ্যমে ঢুকিয়ে তাপ দেওয়া হয়। এই তাপ ফুসফুসের স্মুথ মাসলগুলিকে টার্গেট করে, যাতে সেই পেশিগুলি সঙ্কুচিত হয় এবং হাঁপানির উপসর্গগুলিকে আরও বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যেতে না পারে। এই পদ্ধতির জন্য সাধারণত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে তিনবার সিটিং-এর প্রয়োজন হয়।
advertisement
advertisement
কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল পূর্ব ভারতে প্রথমবার নিয়ে এসেছে ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি প্রক্রিয়া। হাঁপানির সবচেয়ে কার্যকর নিরাময়। ১৪ মার্চ, ২০২২-এ কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে দু'জন রোগীর উপর ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি করা হয়েছিল। পদ্ধতির পরে রোগীরা স্থিতিশীল।
অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কলকাতার কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডঃ দেবরাজ জশ দুই রোগীর ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন। ফুসফুস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবরাজ যশ জানাচ্ছেন, '' ভারতে মোট জনসংখ্যার একটা বিরাট অংশ গুরুতর হাঁপানিতে ভুগছে ৷ ফলে ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি নন-অ্যালার্জিক হাঁপানির ক্ষেত্রে একটি কার্যকর চিকিৎসা। পূর্ব ভারতে এই পদ্ধতি চালু করা সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।''
advertisement
ডক্টর দেবরাজ যশ আরও বলছেন," বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ হাঁপানিতে ভুগছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫-১০% মানুষ এই রোগের তীব্রতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। যদি ২-৩ মাস ধরে সঠিক ওষুধ এবং পদ্ধতিতে ইনহেলার ব্যবহার করার পরও এই ধরনের রোগীদের সমস্যা থেকে যায়, তা হলে তাদের পালমোনারি ফাংশন টেস্ট করাতে হবে। যদি আইজিই বা ইওসিনোফিল ফলাফলে কম থাকে, তবেই তারা এই চিকিৎসার জন্য ভাবতে পারেন। আশি শতাংশ ক্ষেত্রে ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি প্রয়োগ করার পর রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে,তাঁদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাবে না। সম্পূর্ণ ব্যথাহীন ভাবে মাত্র ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা  লাগে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে।"
advertisement
কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হসপিটালের কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডঃ সুশীল আগরওয়াল বলেছেন,  “ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুতর হাঁপানি রোগীদের জন্য একটি বিশাল প্রাণদায়ী চিকিৎসা। আমরা আশা করছি এটি এখানেও সমান কার্যকরী হবে। ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টির পরে রোগীরা স্বস্তি পায় এবং নিয়মিত হাঁপানির আক্রমণ রোখা যায়। ফলে ধীরে ধীরে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।"
advertisement
এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতির সূচনা উপলক্ষে শ্রী রানা দাশগুপ্ত, (সিইও-ইস্টার্ন রিজিয়ন, অ্যাপোলো হসপিটাল গ্রুপ) বলেছেন,  “কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল নতুন প্রযুক্তি আনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেয় বরাবর ৷ এমনকী নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রেও আমরা আগ্রগামী। আমাদের চিকিৎসকার ভাল চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক হাঁপানি রোগীদের সমস্যার সমাধান হবে।" যদিও এই ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টির বর্তমান খরচ যথেষ্টই বেশি। প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ পড়ে। যদিও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যত এটার প্রয়োগ বাড়বে,ততই খরচ কমবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Asthma: এবার কলকাতার হাসপাতালেই ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি, হাঁপানি থেকে মুক্তি চিরতরে
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement