হোম /খবর /কলকাতা /
শুধু গরুপাচারই নয়, অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির 'রহস্যফাঁস'! বিস্ফোরক দাবি করল ED

Anubrata Mondal: শুধু গরুপাচারই নয়, অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির 'রহস্যফাঁস'! বিস্ফোরক দাবি করল ED

অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি

অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি

Anubrata Mondal: অনুব্রতর বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে আনা হয়েছে

  • Share this:

নয়া দিল্লি: শুধু যে গরু পাচারের টাকাতেই অনুব্রতর সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে উঠেছিল এমনটা নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে টাকা পৌঁছেছে অনুব্রত মণ্ডলের কোষাগারে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে আনা হয়েছে।  দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মাধ্যমে সেই টাকা তোলা হত বলেও দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে।

 

ইডি সূত্রে দাবি, সরকারি কাজে বরাত পাইয়ে দেওয়া থেকে জেলা পরিষদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিয়ে বছরের পর পর কখনও মোটা টাকা আবার কখনও কমিশন বাবদ টাকা এসেছে বীরভূমের কেষ্টর কাছে। সেই টাকা পরে পৌঁছে গেছে ঘনিষ্টদের নামে খোলা অ্যাকাউন্টে। এমনটাই দাবি ইডির। ৩ নভেম্বর ২০২২ সালে বীরভূমের এক চাল কল ব্যবসায়ীর বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। সেই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ইডির চার্জশিটে।

চার্জশিটে উল্লেখ করা রয়েছে, ২০০৮ থেকে তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে চিনতেন। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অনুব্রতর চাল কল ব্যবসা তিনি দেখতেন। ওই ব্যবসায়ী ইডির কাছে দেওয়া বয়ানে বলেছেন, জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের বরাত পাইয়ে দেওয়া এবং সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিয়ে সায়গল হোসেন টাকা তুলত। অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে এই টাকা তোলা হয়েছে বলে ইডির কাছে দাবি করেছেন ওই চাল কল ব্যবসায়ী। কমিশন বাবদ টাকা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই সমস্ত টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন সায়গল।

শুধু এই ব্যবসায়ী নন, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর বীরভূমের এক কন্ট্রাক্টরও একই রকম বয়ান দিয়েছেন ইডির কাছে। তারও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। তিনি ২০১০ সাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে চিনতেন। বয়ানে তিনি জানিয়েছেন, সরকারি কাজের বরাত পেতে অনুব্রত মণ্ডলকে কমিশন বাবদ টাকা দিতেন। কাজের ভিত্তিতে ১ থেকে ৫ শতাংশ হারে কমিশন তুলে দিয়েছেন সায়গলের হাতে। চার্জশিটে ইডির উল্লেখ এই সমস্ত টাকা তোলার দায়িত্ব ছিল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ওপর।

আরও পড়ুন, মণিপুরে আটক রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্ধারের নির্দেশ, হেল্পলাইন নম্বর জানালেন মমতা

আরও পড়ুন, ডিএ-র দাবিতে অভিষেকের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল, ছুঁয়ে গেল মমতার পাড়াও

ইডি সূত্রে দাবি, নগদে এই টাকা নেওয়া হত। পরে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠদের নামে খোলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেলা হত টাকা। যা পরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সুকন্যার নামে থাকা ফিক্সড ডিপোজিটে। যা থেকেই ইডির দাবি অনুব্রত মণ্ডল যে টাকা তুলতেন তাতে লাভবান হয়েছেন পরিবারের সদস্যরাও।

Published by:Suvam Mukherjee
First published:

Tags: Anubrata Mondal, ED, TMC