হোম /খবর /হুগলি /
শিক্ষার পর খাদ্য দফতরে চাকরির টোপ, বিনিময়ে টাকার পাহাড়! কুন্তলের বিরাট কীর্তি

Scam in West Bengal: শিক্ষার পর খাদ্য দফতরে চাকরির টোপ, বিনিময়ে টাকার পাহাড়! কুন্তলের বিরাট কীর্তি

কুন্তলের কীর্তিতে অবাক সকলে

কুন্তলের কীর্তিতে অবাক সকলে

Scam in West Bengal: কুন্তল যেভাবে জাল পেতেছিল তার জালে সাধারণ মানুষের জড়িয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে ওঠে।

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

হুগলি: শিক্ষা দফতরের পর খাদ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করেছে তাপস ঘনিষ্ঠ কুন্তল ঘোষ। কুন্তলের গ্রেফতারের পর একে একে মুখ খুলছে অনেকেই। এবার প্রকাশ্যে এলো গুণধর ছেলের আরেক কুকীর্তি। সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে খাদ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেয় কুন্তল। কথামতন ৩ লক্ষ টাকা নিজের কাছে নিয়েও নেয় সে। কথা হয়েছিল চাকরির পর বাকি টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু না মিলল চাকরি না প্রতারিত পরিবার ফিরত পেলো টাকা।

যদিও এ কথা ঠিক চাকরির জন্য ঘুষ দেওয়া এবং ঘুষ নেওয়া দুই সমপরিমাণ অপরাধ । তবে কুন্তল যেভাবে জাল পেতেছিল তার জালে সাধারণ মানুষের জড়িয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে ওঠে। এই যেমন রূপা দাস ও তার ছেলে।রুপা দাস হুগলির বলাগড়ের জিরাটের বাসিন্দা।২০২০ সালে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল কে। রুপার বাড়ির পাশেই রয়েছে কুন্তলের দিদি কুন্তলার বাড়ি। কুন্তলের দিদিই রুপা কে বলে "তার ভাই চাকরি করিয়ে দিতে পারবে।" সেই সময় ২০ দিনের মধ্যে চাকরি করিয়ে দিতে পারবে কুন্তল। কিন্তু সেই চাকরি পেতে গেলে টাকা দিতে হবে। চাকরি করিয়ে দিতে ১৪ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো কুন্তল।

আরও পড়ুন: সামনে সেই মহিলারা, পঞ্চায়েতের আগে বিরাট প্ল্যান তৃণমূলের! তুঙ্গে আলোড়ন

২০ দিনের মধ্যে খাদ্য দফতরে চাকরি করে দেবে কুন্তল। ১৪ লক্ষের মধ্যে প্রথমে পাঁচ লক্ষ দিতে বলেছিলো কুন্তল। তবে ওত টাকা দিতে পারবে বলে জানায় রুপা। প্রথমে তিন লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছিলো। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কোন টাকা নেয়নি কুন্তল। চাকরি হয়ে গেলে বাকি টাকা দিতে বলা হয়। পরে যখন চাকরি হচ্ছেনা দেখে টাকা চাইতে গিয়েছিলো রুপা। যদিও টাকা নিয়ে নেওয়ার পর থেকে আর দেখা করত না কুন্তল। বলাগড়ের বাড়িতে বসেই টাকা নিয়েছিলো কুন্তল। কিন্তু পরে চাকরি প্রার্থী বা তাদের পরিবারের লোকেরা দেখা করতে চাইলে দারওয়ান তাড়িয়ে দিত।

আরও পড়ুন: 'ওর ধারে কাছে কেউ ভিড়তে পারবে না', অভিষেককে কেন এমন নিশানা শুভেন্দুর? জোর জল্পনা

এই বিষয়ে প্রতারিত রুপার বক্তব্য, তার বাড়ির পাশে কুন্তলের দিদির বাড়ি, প্রথম দিকে খুব ভালোভাবে কথা বলতো তারা। বাড়িতে গেলে ডেকে বসিয়ে শরবত খাওয়ানো সমস্ত আপ্যায়ন করত। একবারের জন্যও বুঝতে দেয়নি, তারা ঠক জোচ্চোর। কথামতন টাকাও দিয়ে এসেছিল তাদের বাড়িতে। কিন্তু টাকা পাওয়ার পর দিন থেকেই বদলে যায় সম্পূর্ণ চেহারা। বারবার চাকরির জন্য বললেও মেলেনি চাকরি টাকা ফেরত চাইতে গেলে মিলেছে হুমকি ও দারোয়ানের ধ্যাতানি। অসহায় হয়ে ফিরে এসেছেন বারবার। এখন তারা চাইছেন ই ডি যদি তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করে তাহলে মেয়ের অপারেশন করতে পারবেন।

Published by:Suman Biswas
First published:

Tags: Scam in west bengal, SSC Scam