Explained : ভারতে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আইন, পশ (POSH) আইন কী? বিস্তারিত জানুন

Last Updated:

Explained : কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে নতুন যে আইন তাকে পশ (POSH) আইন বলে। এই আইন ২০১৩ সালে পাশ করা হয়েছিল।

আরেকজন Reddit ব্যবহারকারী এই সমীক্ষায় এমনই বেশ কয়েকটি কম রোমান্টিক জায়গায় যৌন সম্পর্কের অভিজ্ঞতার কথা জানান। যেমন ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টের পিছনে ডাস্টবিনের পাশে সঙ্গম।
আরেকজন Reddit ব্যবহারকারী এই সমীক্ষায় এমনই বেশ কয়েকটি কম রোমান্টিক জায়গায় যৌন সম্পর্কের অভিজ্ঞতার কথা জানান। যেমন ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টের পিছনে ডাস্টবিনের পাশে সঙ্গম।
# নয়াদিল্লি: কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে নতুন যে আইন তাকে পশ (POSH) আইন বলে। এই আইন ২০১৩ সালে পাশ করা হয়েছিল। যৌন হয়রানির অভিযোগ এবং তদন্তের পদ্ধতি নির্ধারণ করে পদক্ষেপ করে এই আইন। ভারতে কর্মরত মহিলাদের কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে ২০১৩ সালে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। একে বলা হয় POSH আইন অর্থাৎ যৌন হয়রানি প্রতিরোধ।
# মি টু (#MeToo) প্রতিবাদীদের আন্দোলনের সময় ভারতের বহু মহিলা প্রভাবশালী পুরুষদের বিশেষ করে অভিনেতা, উচ্চ পদস্থ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন, এবং সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছিল মামলা।
বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ কেরল হাইকোর্ট চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট মামলা যথাযথ পদ্ধতিতে পরিচালনা করার জন্য যৌথ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৩ সালের এই আইন। আইনটি প্রণয়ন করার সময় আদালত জোর দিয়েছিল ফিল্ম প্রযোজনা ইউনিটগুলিকে অবশ্যই যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আইন মেনে চলতে হবে। সাধারণত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বা POSH আইন হিসাবে পরিচিত ২০১৩ সালে সংসদে এই আইন পাশ হয়। মি টু (#MeToo) আন্দোলনের সময় দেশের বহু নারী প্রভাবশালী পুরুষদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন।
advertisement
advertisement
বিশাখা গাইডলাইন নামে আরও কড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল এই আইনের সঙ্গে। ১৯৯৭ সালে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হলে দ্রুত আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এটি মহিলাদের অধিকার গোষ্ঠীগুলির দায়ের করা একটি মামলার রায় ছিল। যার মধ্যে একটি ছিল বিশাখা আইন৷ রাজস্থানের একজন সমাজকর্মী ভাঁওয়ারি দেবীর গণধর্ষণ নিয়ে তারা একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। ১৯৯২ সালে এক বছরের এক শিশুকন্যার বিয়েতে বাধা দিয়েছিলেন ওই সমাজকর্মী। আর তারই ফলে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাঁকে গণধর্ষণ হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর বিশাখা আইন প্রয়োগ করা হয়।
advertisement
বিশাখা আইনের নির্দেশিকা অনুযায়ী যৌন হয়রানিকে নিষিদ্ধ করতে যাবতীয় রক্ষাকবচ তৈরি করেছিল এই আইন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর তিনটি মূল বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছিল এই আইনের মাধ্যমে। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রতিকার করার কথা বলা হয়েছিল। কমিটি গঠন করে সেই কমিটির সদস্যরা কর্ম ক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানির বিষয় খতিয়ে দেখবে বলে বলা হয়েছিল।
advertisement
২০১৩ সালের আইন নির্দেশিকাগুলিকে অনুসরণ করেই চলে।
বাধ্যতামূলক ভাবে প্রতিটি সংস্থার নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই দশ বা তার বেশি কর্মচারী নিয়ে প্রতিটি অফিস বা শাখায় একটি অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (ICC) গঠন করতে হবে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করার পদ্ধতি নির্ধারণ করে এবং যৌন হয়রানির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখার কাজ করে এই কমিটি। দেশের যেকোনো সংস্থায় যে কোনও বয়সের মহিলা যৌন হয়রানির শিকার হতে পারেন। তাঁর অভিযোগও যথাযথ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার গঠিত এই কমিটি।
advertisement
প্রযুক্তিগত ভাবে ভুক্তভোগীর জন্য আইসিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করা বাধ্যতামূলক নয়। আইন বলে যে তিনি তা করতে পারেন- এবং যদি তিনি না করতে পারেন, তাহলে ICC-এর কোনও সদস্য তাঁকে লিখিত অভিযোগ করার জন্য "সমস্ত যুক্তিসঙ্গত সহায়তা" প্রদান করবেন। যদি নিগৃহীতা মহিলা শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা মৃত্যু বা অন্য কোন কারণে অভিযোগ করতে না পারেন তবে তাঁর আইনগত উত্তরাধিকারী তা করতে পারেন। অভিযুক্ত যদি একই ভাবে যৌন হয়রানি ক্রমাগত করতেই থাকে, তবে এই জাতীয় ঘটনার শেষ ঘটনার তারিখ থেকে ৩ মাস গণনা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যেই আদালতে নিগৃহীত অথবা নিগৃহীতার আত্মীয় পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী বা আইনজীবী কর্তৃক মামলা দায়ের করতে হবে।
advertisement
আইনের অধীনে অভিযোগটি "ঘটনার তারিখ থেকে তিন মাসের মধ্যে" করতে হবে। সময়সীমা বাড়তে পারে যদি এটি আইন স্বীকৃতি দেয়। উক্ত সময়ের মধ্যে মহিলাকে অভিযোগ দায়ের করতে বাধা দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে আদালত।
আইনের সংশোধনীতে রয়েছে, মহিলাদের নিশ্চিত করা উচিত যে পশ (POSH)অ্যাক্টের অধীনে বা যেখানেই তারা কাজ করছে সেখানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
advertisement
যৌন হয়রানির শিকার হয়ে থাকলে বা কোনও ঘটনা ঘটলে চুপ করে থাকবেন না। এগিয়ে এসে এর বিরোধিতা করার কথা বলা হয়েছে।
কারো সঙ্গে কাজ করার সময় যৌন হয়রানির শিকারের বিরুদ্ধে সহকর্মীদেরও কথা বলতে উৎসাহিত করতে হবে।
পুলিশ এবং কমিটির সামনে রিপোর্ট করতে দ্বিধা করা যাবে না।
যদি পুলিশ এবং কমিটি শুনানি না করে তবে দেওয়ানি আদালতে যেতে হবে।
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Explained : ভারতে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আইন, পশ (POSH) আইন কী? বিস্তারিত জানুন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement