Explained: Egg Freezing: ৩০-৪০ বছরে এগ ফ্রিজিংয়ের প্ল্যান? পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

Last Updated:

ফার্টিলিটি, দেরিতে সন্তান ধারণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই যেটা বলা দরকার তা হল এগ ফ্রিজিং (Egg Freezing)।

egg freezing at the age of 30-40 years, Know benifits and risk- Photo- Reppresentative
egg freezing at the age of 30-40 years, Know benifits and risk- Photo- Reppresentative
#কলকাতা: আজকাল পরিবার বড় করার প্ল্যানিং, সন্তানকে নিজেদের জীবনে (Lifestyle) আনার প্ল্যানিং বহু মানুষ দেরিতে করে থাকে। ৩০-এর কোটা শেষের দিকে বা ৪০-এর শুরুতে অনেকেই সন্তান আনার কথা ভাবে। দিন যত এগোচ্ছে, এই বয়সে সন্তান ধারণে অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অনেকের সন্তান ধারণের ক্ষমতাও কমে যায় ফলে স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান ধারণ করা প্রায় সম্ভব হয় না। চিকিৎসকরা বলছেন, এই বয়সে অনেক মহিলার ক্ষেত্রেই ডিম্বাণু কমতে থাকে ফলে স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েন। অনেকে এর জন্য মানসিক অবসাদেও চলে যান। কিন্তু কলকাতার উত্তম কুমার সরণির Nova IVF Fertility East-এর সিনিয়র ফার্টিলিটি কনসালটেন্ট ড. ঐন্দ্রি সান্যাল (Dr. Aindri Sanyal) বলছেন, এই বয়সেও সন্তান ধারণ সম্ভব। তাঁর কথায়, বর্তমানে অনেকেই জানেন বয়স বাড়লে সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু যেহেতু বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে তাই এটা জেনেও দেরিতে সন্তান ধারণের পথই বেছে নিচ্ছেন তাঁরা। নিচ্ছেন অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজি (ART) -র সাহায্য। আর এর হাত ধরেই ৩০ এর শেষে বা ৪০ এও সন্তান ধারণ সম্ভব হচ্ছে।
দেরিতে সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করার একাধিক ভালো ও একাধিক খারাপ দিক রয়েছে। যা পূর্বে বহুবার আলোচনা হয়েছে বহু স্তরে। কিন্তু দেরিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কারও অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে, যা পেরিয়ে পরিবারের পরিকল্পনা (Lifestyle) করতে সময় লেগে যায়। আবার কেউ দেরিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়াকেই সুবিধার মনে করে। সে যাই হোক, এই ART-র ফলে আজ অনেকেই উপকৃত।
advertisement
ফার্টিলিটি, দেরিতে সন্তান ধারণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই যেটা বলা দরকার তা হল এগ ফ্রিজিং (Egg Freezing)। বহু সেলেবের হাত ধরে আজ এই টার্ম বা কথা অনেকের কাছেই পরিচিত। কী এই এগ ফ্রিজিং?
advertisement
এগ ফ্রিজিং একটি পদ্ধতি, যেখানে মহিলাদের ডিম্বাণু ফ্রজেন করা হয়। পরে এই ডিম্বাণু পুনরুদ্ধার করে স্পার্মের সঙ্গে মিলিয়ে ইউটেরাসে দেওয়া হয়।
advertisement
যারা দেরিতে সন্তান ধারণের কথা ভাবছে তাদের জন্য এই পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও মহিলারা অন্য বেশ কিছু কারণের এই পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হল, ১. যদি ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কোনও মহিলার বন্ধ্যাত্ব আসার সম্ভাবনা থাকে বা ২. কারও যদি এন্ডোমেট্রিওসিস বা টিউব্যাল ব্লকিং থাকে।
advertisement
কী ভাবে করা হয় এই এগ ফ্রিজিং (Egg Freezing) ?
এগ ফ্রিজিংয়ের ক্ষেত্রে একাধিক স্তর ও পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলি হল -
১. সিন্থেটিক হরমোনের মাধ্যমে একটি চক্রের মধ্য দিয়ে একটি ডিম্বাণুর বদলে একাধিক ডিম্বাণু তৈরি করবে ওভারি। এর পর ডিম্বাণুগুলি কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা দেখার জন্য একাধিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ডিম্বাণুর গুণগত ও সংখ্যাগত মান খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে প্রায় ১০-১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগবে।
advertisement
২. এই ডিম্বাণু পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুত হয়। এর পর একটি আলট্রাসাউন্ড প্রোবের মাধ্যমে ডিম্বাণুগুলি অ্যাসপিরেট করা হয়। এক্ষেত্রে সাকশন ডিভাইস যুক্ত একটি নিডলের মাধ্যমে ফলিকল থেকে এক বা একাধিক ডিম্বাণু পুনরুদ্ধার করা হয়। প্রতিটি চক্রে প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য ফলিকল থেকে প্রায় ১৫টি ডিম্বাণু সরিয়ে ফেলা হয়।
৩. শেষমেশ, এই ডিম্বাণুগুলি শূন্য তাপমাত্রার নিচে ফ্রোজেন করা হয় ও সংরক্ষিত করা হয়। এই ভিট্রিফিকেশন প্রক্রিয়া আন-ফার্টিলাইজড ডিম্বাণুর উপর আইস ক্রিস্টাল জমতে বাধা দেয়।
advertisement
৩০-৪০ বছরে কি এগ ফ্রিজিং সম্ভব ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এগ তথা ডিম্বাণু ফ্রিজিংয়ের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর। একজন মহিলা যখন ৩০ বছর পেরিয়ে যান, তখন ধীরে ধীরে ফার্টিলিটি রেট হ্রাস পেতে থাকে। একই সঙ্গে ডিম্বাণুগুলির গুণগত মানও হ্রাস পায়। তাই যদি কেউ লেট প্রেগনেন্সির প্ল্যান করছেন, তাহলে ৩০-৩৪ বছরের মধ্যেই এগ ফ্রিজিংয়ের কথা মাথায় রাখতে হবে।
advertisement
বয়সসীমা কি কোনও ভূমিকা নেয় ?
কোন বয়সে এগ ফ্রোজেন হচ্ছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ২০-৩০ বছরের মধ্যে ডিম্বাণুগুলির গুণগত ও সংখ্যাগত মান ভালো থাকে। তাই সফল হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল হয়। যাই হোক, ৪০ বছর বয়সেও এগ ফ্রিজিং সম্ভব, তবে প্রেগনেন্সি রেট হ্রাস পায়। কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুগুলির গুণগত ও সংখ্যাগত মান হ্রাস পায়।
৩০-৪০ বছর বয়সে এগ ফ্রিজিংয়ের সুবিধা ও অসুবিধা
২০-৩০ বছরের বয়সসীমার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে ৪০ বছর বয়সে এগ ফ্রিজিং মিসক্যারেজ অর্থাৎ গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। আসল বিষয়টি হল, ওভারির একটি বায়োলজিকাল ক্লক রয়েছে। কিন্তু ইউটেরাসে নেই। যদি, ৩০ বছর বয়সে এগ ফ্রজেন হয় এবং ৪০-৪৫ বছর বয়সে ডিম্বাণু তরলীকরণ তথা দ্রবীভূত করার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে একটি যথাযথ ও স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণ সম্ভব। কারণ, অপেক্ষাকৃত কম বয়সের ডিম্বাণু তুলনামূলকভাবে বেশি বয়সের ইউটেরাসের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা যায়।
এক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে দেশ বিশেষে তা বদলাতে থাকে। যেমন ব্রিটেনে ১০ বছর পর্যন্ত ডিম্বাণু স্টোর করতে পারে মহিলারা। সুইডেনে এই সময়সীমা ৫ বছর।
একাধিক সাবধানতাও অবলম্বন করতে হয়। ক্যানসারের চিকিৎসা চললে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হয়। এন্ডোমেট্রিওসিস বা টিউব্যাল ব্লকিংয়ের মতো বিষয়গুলিও উল্লেখযোগ্য। এর পাশাপাশি মেনোপজের কোনও পারিবারিক ইতিহাস থাকলে, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। মহিলারা অনেকেই বিষয়টিকে কেরিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। এগ ফ্রিজিং একটি কেরিয়ার অপশনও হতে পারে। কারণ এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অনেকটাই খরচ সাপেক্ষ। তবে এই প্রক্রিয়া চলাকালীন হরমোন প্রয়োগের ফলে কিছু স্বল্পমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এক্ষেত্রে বমি-বমি ভাব, পেটে ব্যথা সহ একাধিক সমস্যা দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, এগ ফ্রিজিংয়ের সময় বিশেষজ্ঞরা কিছু সাধারণ তবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে মহিলাদের একটি যথাযথ ও স্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল মেনে চলতে হবে। সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। যাতে কোনও অসুস্থতা সহজে গ্রাস করতে না পারে, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। কারণ এগুলি প্রেগনেন্সির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এগ ফ্রিজিংয়ের সময় বয়স, সাফল্যের সম্ভাবনা, ফ্রিজিংয়ের খরচ, শারীরিক সমস্যা সহ প্রতিটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তার পর সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া শ্রেয়।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Explained: Egg Freezing: ৩০-৪০ বছরে এগ ফ্রিজিংয়ের প্ল্যান? পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement