Dakshin Dinajpur News: নীরবে হারিয়ে যেতে বসেছে যাত্রাপালা! যাত্রা কার্যত শেষ বলে আক্ষেপ যাত্রা শিল্পীদের

Last Updated:

নাটকের শহর হিসেবে বালুরঘাট পরিচিত থাকলেও এই মফস্বল শহরের নাট্যচর্চার পাশাপাশি সমানভাবে যাত্রাপালার জৌলুস কম ছিলনা। কিন্তু নাটকের আগে এখানে যাত্রাপালার রমরমা ছিল।কিন্তু যাত্রাপালার যাত্রা কার্যত শেষ বলে আক্ষেপ যাত্রা শিল্পীদের।

+
title=

দক্ষিণ দিনাজপুর: দর্শকও নেই, নেই কোন যাত্রার মঞ্চ। তবুও এখনও একাধিক যাত্রাশিল্পী পুরনো স্মৃতি বুকে আগলে রয়েছে। নাটকের শহর হিসেবে বালুরঘাট পরিচিত থাকলেও এই মফস্বল শহরের নাট্যচর্চার পাশাপাশি সমানভাবে যাত্রাপালার জৌলুস কম ছিলনা। নাটকের আগে এখানে যাত্রাপালার রমরমা ছিল। শহর ও গ্রামের মানুষ যাত্রা দেখতে সারারাত জাগতেন। মানুষ সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে সন্ধ্যায় যাত্রা মঞ্চের সামনে ঠাঁই বসে থাকতেন।
বালুরঘাট ছাড়িয়ে সেই সময় যাত্রাপালা পার্শ্ববর্তী অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন কলাকুশলীদের সংখ্যা প্রচুর। সাত ও আটের দশকে তখন গ্রামাঞ্চলগুলিতে দর্শকের ঠাসা ভিড়ে যাত্রার মঞ্চ দাপাচ্ছেন শিল্পীরা। বালুরঘাটের সৌখিন নাট্য সংস্থা, পতিরামের ঐক্যতান, বালুরঘাট ব্লকের বানিয়াকুরি গ্রামের অপরূপ সংস্থা তখন চুটিয়ে যাত্রাপালা করে চলছে।
আরও পড়ুন ঃ কন্যাশ্রীর ব্যানারে বালুরঘাটের দুই ছাত্রী! কী নাম তাদের? চিনে নিন এই দুই কন্যাকে!
কিন্তু যাত্রাপালার যাত্রা কার্যত শেষ বলে আক্ষেপ যাত্রা শিল্পীদের। এখন কার্যত অতীতের স্বর্ণালী স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন সেই অভিনেতারা। সে এক সময় ছিল। যাত্রার আসরে ভেঙে পড়ত গ্রামের পর গ্রাম। একের পর এক রাত জেগে পালার পর পালা দেখা। যাত্রা তার পুরনো জৌলুস হারাচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরেই।
advertisement
advertisement
উল্লেখ্য বালুরঘাট থেকে ১৫ কিমি দূরে সেওই গ্রাম। সেখানেই বানিয়াকুড়ি এলাকায় এখনও যাত্রার সংলাপ আউড়ে চলেন ৮০ বছরের জ্যোতিষচন্দ্র দাস। এখনও তার হাতে পুরনো রেডিও, সেখানে সারাদিন যাত্রা শুনে দিন কাটান তিনি। তার কথায়, ‘২০১৬ সালে শেষ যাত্রায় অভিনয় করেছি। এখন আমার অপরূপ সংস্থা বন্ধ। সরকারি কোনো ভাতা নেই। কিন্তু দল চালাতে অনেক খরচ হয়। ১৩ বছর বয়স থেকে যাত্রায় অভিনয় শুরু। সেইসব দিন এখনও চোখের সামনে ভাসে। নিজেরাই মঞ্চ বাঁধতাম, খেজুর গাছের ছাল দিয়ে দর্শকের আসন তৈরি করতাম।’
advertisement
আরও পড়ুন ঃ ফের বাসের ধাক্কায় জখম ২ স্কুল পড়ুয়া! “পুলিশি অপদার্থতার”র অভিযোগ স্থানীয়দের
তারপর আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘সবই স্মৃতির ঘরে সাজানো রয়েছে। এখন মানুষের আর যাত্রা পছন্দ নয়। সরকার চাইলেও এর সুদিন ফেরানো প্রায় অসম্ভব। এখন বিনোদনের মাধ্যম বদলেছে। নাটকের বেশ কয়েকটি রজনী হলেও প্রেক্ষাগৃহে বেজে ওঠে মোবাইলের রিংটোন। মুঠোফোনের রঙ বেরঙের হাতছানিতে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। বিনোদন খুঁজতে মঞ্চের সামনে বসতে অনীহা।’
advertisement
নাটকে তবু দর্শক দেখা গেলেও যাত্রা এখন বন্ধ। বহু যাত্রা দল ইতিমধ্যেই বাদের খাতায় নাম লিখিয়েছে। অভিনেতার অভাবে বহু দল লাটে উঠেছে। শিল্পীরা পেটের টানে অন্য পেশার প্রতি ঝুঁকেছে। যাত্রায় লোকসান হতে থাকায় মালিকরাও তল্পিতল্পা গুছিয়ে নিয়েছেন। তবু কিছু এলাকায় যাত্রার দর্শক রয়েছে। এখনও বোয়ালদার বারোয়ারী নাট্য সংস্থা যাত্রার প্রতিযোগিতা করেন। যদিও তাদের শেষ অনুষ্ঠান হয়েছে পাঁচ বছর আগে।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ ডালের নামে পাতে পড়ে জল! অঙ্গন‌ওয়াড়ি কেন্দ্রে ঝুলল তালা
দক্ষিণ ডাংগি বারুনী মেলায় এখনো যাত্রাপালা আয়োজিত হয়। বালুরঘাট ব্লকের ডাংগি, বোয়ালদার, পতিরাম, প্রাচ্য ভারতি সহ একাধিক জায়গায় গড়ে উঠেছিল যাত্রার একাধিক দল। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সে সমস্ত দলগুলির চিহ্ন নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র কিছু শিল্পী স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে আছেন মাত্র।
advertisement
সুস্মিতা গোস্বামী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ দিনাজপুর/
Dakshin Dinajpur News: নীরবে হারিয়ে যেতে বসেছে যাত্রাপালা! যাত্রা কার্যত শেষ বলে আক্ষেপ যাত্রা শিল্পীদের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement