Kali Puja 2025: মৌরলা, পুঁটি, খয়রা, ল্যাটা, বেলে, কই, শিঙি, মাগুর, চাঁদা...১২ রকম মাছভাজায় সাজানো ভোগের থালা, গ্রামীণ পরিবেশে নিষ্ঠা ভরে পূজিত হন ‘বিলেকালী’
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- local18
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হল ১২ রকমের মাছের ভোগ। দেবীর নৈবেদ্যে চুনোমাছ থেকে শুরু করে কাঁকড়া পর্যন্ত নানা রকমের পদ থাকে।
শহর ও শহরতলির ঝলমলে আলোর উজ্জ্বলতাকে অনেক দূরে ফেলে, শান্ত-নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশে আজও টিকে আছে এক অন্যরকম পূজোর ঐতিহ্য। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ১ ব্লকের প্রান্তিক গ্রাম বিদ্যানগরের কোবলায় অনুষ্ঠিত হয় এই অনন্য পুজো। সোমবার বিকেলে তার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানী এ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিকসহ বিশিষ্টজনেরা।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
খাল-বিলে ঘেরা এই প্রান্তিক গ্রামের নাম কোবলা। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই পেশায় মৎস্যজীবী। সমাজের প্রান্তিক বাগদি ও জেলে সম্প্রদায়ের এই মানুষজন যুগের পর যুগ ধরে পুজো করে আসছেন তাঁদের নিজস্ব দেবী ‘চুনোকালী’, যাঁকে অনেকে আবার স্নেহভরে ডাকেন ‘বিলেকালী’ নামে। তাঁদের বিশ্বাস, এই দেবীই তাঁদের জীবিকার দেবী।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হল ১২ রকমের মাছের ভোগ। দেবীর নৈবেদ্যে চুনোমাছ থেকে শুরু করে কাঁকড়া পর্যন্ত নানা রকমের পদ থাকে। খাল-বিল থেকে জালে ধরে আনা মাছেই তৈরি হয় দেবীর ভোগ। ভোগের তালিকায় থাকে কাঁকড়া, সোনা খড়কে, মৌরলা, পুঁটি, খয়রা, ল্যাটা, বেলে, কই, শিঙি, মাগুর, ধ্যাদা, চাঁদা ও খলসে মাছের ভাজা পদ। সঙ্গে পরিবেশিত হয় এক বিশেষ ধরনের মাছের টক, যা এই পুজোর অঙ্গ।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
advertisement
কোবালা এলাকার চাঁদের বিলের পাড়ে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল একসময় খড়ের চালার একটি নড়বড়ে মন্দিরে। পরে ২০০০ সালে তৎকালীন এলাকার বিধায়ক স্বপন দেবনাথ এই পুজো ও মন্দিরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেই খড়ের চালা ছেড়ে দেবী এখন আশ্রয় পেয়েছেন কংক্রিটের এক মন্দিরে। বর্তমানে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হলেও, স্বপনবাবু এখনও এই পুজোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
স্বপন দেবনাথের কথায়, “এই পুজোয় বিলে মাছ ধরা মানুষগুলোর আবেগ জড়িত। আমি শুধু পাশে থাকি, তাদের উৎসবে হস্তক্ষেপ করি না।” তবে ‘চুনোকালী’ নামের উৎপত্তি নিয়ে স্থানীয়দের কৌতূহলও কম নয়। স্বপনবাবুর মতে, শাস্ত্র বা পুরাণে এমন কোনও কালী দেবীর উল্লেখ নেই। খালের পাড়ে এই পুজো হয়, আর এখানকার মানুষ চুনো মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই তাঁদের মুখেমুখেই দেবী ‘চুনোকালী’ বা ‘বিলেকালী’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী