#নয়াদিল্লি: করোনার তৃতীয় ঢেউ (Coronavirus 3rd Wave) আছড়ে পড়লে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা (Covid Positive Children), এই আশঙ্কা থেকেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আগেভাগে শিশুদের কোভিড চিকিৎসার গাইডলাইন জারি করল। কম্প্রিহেনসিভ গাইডলাইনস ফর ম্যানেজমেন্ট অফ কোভিড ১৯ ইন চিল্ড্রেন (Comprehensive Guidelines for Management of COVID-19 in Children) শীর্ষক এই বিস্তারিত গাইডলাইনে মন্ত্রক স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কোনও ভাবেই শিশুদের ক্ষেত্রে রেমডিসিভির (Remdesivir) ব্যবহার করা যাবে না। ঝুঁকি রয়েছে এমন শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একমাত্র স্টেরয়েড ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন চিকিৎসকরা।
কেন্দ্রের এই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, 'আপৎকালীন ভিত্তিতে ব্যবহার্য ওষুধ রেমডিসিভির শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় তার কারণ যাদের বয়স ১৮-র নীচে তাদের ক্ষেত্রে রেমডিসিভির কতটা কার্যকর, কতটা নিরাপদ এই নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য নেই। কেন্দ্র আরও বলছে, কোনও শিশু-কিশোর করোনায় আক্রান্ত হলে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন থেরাপি শুরু করতে হবে। তার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে দেওয়া চাই পর্যাপ্ত ইলেক্ট্রোলাইট এবং ফ্লুইড। নিদান দেওয়া হয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী কর্টিকোস্টেরয়েড থেরাপি (Corticosteroids Therapy) শুরু করার।
কেন্দ্রের বিবৃতি অনুযায়ী, যেহেতু স্টেরয়েড (Steroids) উপসর্গ নেই বা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা রোগীদের জন্য অতি বিপদজনক তাই একমাত্র হাসপাতলে ভর্তি হওয়া, ঝুঁকি রয়েছে এমন শিশুর ক্ষেত্রেই স্টেরয়েড প্রযোজ্য। চিকিৎসকের কড়া পর্যবেক্ষণের উপর ছাড়া হচ্ছে বিষয়টি। গাইডলাইন অনুযায়ী সিক্স মিনিটস অফ ওয়াক টেস্ট (6-Minute Walk Test) করে শিশুর অবস্থা বুঝতে হবে। যদিও যেসব শিশুর শ্বাসকষ্ট (Asthma) রয়েছে তাদের জন্য এই টেস্ট প্রযোজ্য নয়।
৬ মিনিট হাঁটাহাঁটির সময় শিশুর অক্সিজেন স্যাচুরেশন যদি ৯৪ থেকে নেমে যায় অথবা শিশু যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা বোধ করে, এক ধাক্কায় যদি স্যাচুরেশন ৩ থেকে ৫ শতাংশ নেমে যায় তাহলেই বুঝতে হবে শিশুটির হাইপক্সিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus