Money Making Tips: ফসল তো নয়, যেন টাকার গাছ! ৬ মাসের পরিশ্রমেই ডবল, কনকপুরের চাষিরা 'এই' চাষ করে কামাচ্ছেন অঢেল টাকা

Last Updated:

কেলেঘাই নদীর তীরবর্তী এই গ্রাম বহু বছর ধরে বন্যার অভিশাপ বয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু আজ সেই অভিশপ্ত জমিই সোনার ফসল দিচ্ছে।

+
৬

৬ মাসে টাকা ডবল করা চাষ

পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি: বছরের পর বছর কেলেঘাই নদীর জলে তলিয়ে যেত গ্রামের পর গ্রাম। ভেসে যেত বিঘার পর বিঘা চাষের জমি।‌ প্রতিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হত বছরের একমাত্র ধান চাষ। কৃষকের ঘরে উঠত হাহাকার, মুখে হতাশার ছায়া। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর এক নম্বর ব্লকের কনকপুর। কেলেঘাই নদীর তীরবর্তী এই গ্রাম বহু বছর ধরে বন্যার অভিশাপ বয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু আজ সেই অভিশপ্ত জমিই সোনার ফসল দিচ্ছে।
মাদুরকাঠি চাষে বদলে গেছে গোটা গ্রামের অর্থনীতি। একসময় যেখানে জলই ছিল কৃষকের শত্রু, আজ সেই জলই হয়েছে সহায়। কনকপুর গ্রামের মাঠে এখন বিঘার পর বিঘা সবুজ মাদুরকাঠি দুলছে বাতাসে। আগে যেখানে ধান চাষে ক্ষতির হিসেব মেলানো যেত না, এখন সেখানে মাদুরকাঠি চাষ করে চাষিরা লাখ টাকারও বেশি লাভ করছেন। এক কৃষক নিমাই চরণ পাত্র বলেন, “আগে বর্ষা নামলেই ভয় লাগত। ফসল ভেসে যেত, ঘরে খাওয়ার ছিল না। এখন এই জমিতেই মাদুরকাঠি চাষ করে বছরে লাখ টাকা আয় হচ্ছে।”
advertisement
advertisement
এই ফসল দেখতে ঘাসের মতো হলেও বাজারে এর বানিজ্যিক চাহিদা প্রচুর। মাদুরকাঠি থেকে তৈরি হচ্ছে নানারকম মাদুর, ব্যাগ ও গৃহসজ্জার সামগ্রী। স্থানীয় পূর্ব মেদিনীপুরের বাজার ছাড়িয়ে এখন এই পণ্যের চাহিদা পৌঁছে গেছে কলকাতা ও ওড়িশার পাইকারি বাজার পর্যন্ত। মাদুরকাঠি চাষের জন্য জলবদ্ধ, কাদামাটিযুক্ত জমিই সবচেয়ে উপযুক্ত। সাধারণত ফাল্গুন মাসে বীজ বপন করে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে চারা রোপণ করা হয়। মাঠে চার থেকে ছয় ইঞ্চি জল থাকলে এই ঘাস দ্রুত বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার ও সঠিক জলব্যবস্থাপনা বজায় রাখলে ছয় মাসের মধ্যেই ফসল তোলা যায়। এক বিঘা জমিতে চাষ করতে খরচ পড়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। তবে বিক্রির পর লাভ হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ মাত্র ছয় মাসেই চাষির হাতে আসে প্রায় ৬০ হাজার টাকার নিট মুনাফা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবেশবিদদের মতে, এই মাদুরকাঠি চাষ শুধু গ্রামীণ অর্থনীতিকেই নতুন দিশা দিচ্ছে না, বরং প্লাস্টিক মাদুরের বিকল্প হিসেবে পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যে নদীর জলে একসময় সর্বনাশ হত, সেই নদীর তীরেই আজ সোনার ফসল ফলছে। কেলেঘাই নদীর তীরবর্তী কনকপুর গ্রাম আজ পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম সফল উদাহরণ, যেখানে বন্যার বুক চিরে ফুটেছে সোনার ফুল।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Money Making Tips: ফসল তো নয়, যেন টাকার গাছ! ৬ মাসের পরিশ্রমেই ডবল, কনকপুরের চাষিরা 'এই' চাষ করে কামাচ্ছেন অঢেল টাকা
Next Article
advertisement
Weekly Horoscope: সাপ্তাহিক রাশিফল ৩ – ৯ নভেম্বর, ২০২৫: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
সাপ্তাহিক রাশিফল ৩ – ৯ নভেম্বর, ২০২৫: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ
  • সাপ্তাহিক রাশিফল ৩ – ৯ নভেম্বর, ২০২৫

  • দেখে নিন এই সপ্তাহ কেমন যাবে আপনার?

  • জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

VIEW MORE
advertisement
advertisement