বিভিন্ন উপায়ে এনএফটি ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে, জানুন বিশদে!

Last Updated:

বেশিরভাগ এনএফটি কেনা হয় বিনিয়োগ হিসাবে। আশা করা হয় ভবিষ্যতে তার দাম বাড়বে।

#নয়াদিল্লি: অনলাইন গেমগুলিতে এনএফটি-র ব্যবহার বাড়ছে। আগামী দিনে বিনোদন জগতে বৃহৎ পরিসরে এর ব্যবহার হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গতানুগতিক পদ্ধতিতে সিনেমা তৈরি এবং ডিস্ট্রিবিউশনে অনেক খরচ হয়। নতুন নির্মাতাদের কাছে প্রায় ঝকমারি। এনএফটি এই সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। প্রযোজক এনএফটি-র মাধ্যমে তাঁর প্রোজেক্ট বিক্রি করে ফান্ড সংগ্রহ করতে পারেন। শুধু তাই নয়, ছবি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর টোকেন আকারে তা দর্শকদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। হলিউডে ইতিমধ্যেই এমন হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহান এনএফটি চালু করার সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সিনেমাগুলিকে টোকেন হিসেবে দেখাতে পারি’।
চিত্রশিল্পীকে তার আঁকা ছবি বিক্রি করতে কোনও গ্যালারি বা নিলাম ঘরের ওপর নির্ভর করতে হবে না। তিনি সরাসরি তাঁর আঁকা ছবিগুলি এনএফটি আকারে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন৷ যদি ক্রেতা তৃতীয় ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে, তাহলে চিত্রকরও তার উপর রয়্যালটি পাবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে সেই প্ল্যাটফর্মে যতবার ছবি বিক্রি হবে ততবার সে রয়্যালটি পাবে। ঐতিহ্যগত শিল্পকর্ম বিক্রির ক্ষেত্রে এমনটা হয় না।
advertisement
advertisement
এনএফটি-তে এই সুবিধাগুলি পাওয়া গেলেও ঝুঁকিও কম নয়। বেশিরভাগ এনএফটি কেনা হয় বিনিয়োগ হিসাবে। আশা করা হয় ভবিষ্যতে তার দাম বাড়বে। আদতে চাহিদা থাকলে তবেই দাম বাড়বে। তাই এনএফটির চাহিদা না থাকলে শেয়ারের মতো এর দামও কমতে বাধ্য।
advertisement
এনএফটি-র পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয় যে কোনও দামী শিল্পকর্ম বা রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি টুকরো টুকরো করে বিক্রি করা যেতে পারে। অর্থাৎ, একটি ছবির একজন ক্রেতা নয়, অনেক ক্রেতা থাকতে পারে। এবং প্রত্যেকের কাছে সেই ছবির একটি অংশ থাকবে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, ছবির একটা টুকরো নিয়ে ক্রেতা কী করবে? একটা ভালো ছবি দেখার অনুভূতি কী এভাবে পাওয়া সম্ভব? তাছাড়া এনএফটি-ও ক্রিপ্টোর মতোই ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাক করার অনেক ঘটনা ঘটেছে। এক্সচেঞ্জ বা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সেখান থেকে কারেন্সি তুলে নেওয়া হয়। যখন ক্রিপ্টো কারেন্সি হ্যাক করা সম্ভব তাহলে এনএফটি কেন নয়?
advertisement
বিনিয়োগকারী যে প্ল্যাটফর্মে ওয়ালেটে এনএফটি কিনেছেন সেটি বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে? এগুলি সাধারণত অ্যামাজনের মতো কেন্দ্রীয় ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়। সেই সার্ভার হ্যাক হলে এনএফটি-ও চুরি হয়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন যে এনএফটিগুলিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তিতে ত্রুটি রয়েছে। এর একটা বড় সমস্যা হল ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক সংরক্ষণ করা। এনএফটি-র দুটি অংশ রয়েছে - প্রথম স্মার্ট চুক্তি এবং দ্বিতীয় ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক। চুক্তিটি ব্লকচেইনে সংরক্ষণ করা হয়, তবে ব্লকচেইনে আর্টওয়ার্ক সংরক্ষণের ব্যয়ের কারণে চুক্তিতে কেবল শিল্পকর্মের লিঙ্ক বা ইউআরএল দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ইউআরএল-এর মাধ্যমে আর্টওয়ার্ক অ্যাক্সেস করা ঝুকিপূর্ণ হতে পারে।
advertisement
ব্লকচেইন ডেটা কোম্পানি চেইন্যালাইসিস সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি-সহ বড় বিনিয়োগকারীরা এনএফটি সংগ্রহ থেকে প্রচুর মুনাফা করে। একটি বিখ্যাত শিল্পকর্মের এনএফটি কিনতে হাজার হাজার লোক বিড করে। বড় বিনিয়োগকারীরা বট ব্যবহার করে যাতে তারা কিছু টোকেন পেতে পারে। এর ফলে নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য টোকেন কেনা কঠিন হয়ে যায়।
advertisement
এনএফটি ভালো না খারাপ তা মাপার কোনও প্যারামিটার নেই। তবে হ্যাঁ এর সুবিধা আছে এবং অসুবিধাও। এমনকী জালিয়াতিও অসম্ভব নয়। বর্তমানে এনএফটি নিয়ন্ত্রণের কোনও আইনি কাঠামোও নেই। অনেকেই এর বিরুদ্ধে। তাঁরা মনে করেন, নিজের কাছে রাখা যায় না এমন কিছুর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করাটা বোকামি। কারণ, এনএফটি আকারে একটি নামিদামী তৈলচিত্র কিনলে সেটা গ্রাহক তাঁর বাড়ির দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন না।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
ব্যবসা-বাণিজ্যের সব লেটেস্ট খবর ( Business News in Bengali) নিউজ 18 বাংলা-তে পেয়ে যাবেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের টিপস (সেভিংস ও ইনভেস্টমেন্ট টিপস) ব্যবসার উপায়ও জানতে পারবেন। দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
বিভিন্ন উপায়ে এনএফটি ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে, জানুন বিশদে!
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement