মুদ্রাস্ফীতির ফলে কমছে সুদ, নতুন বছরে এই দুই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলেই মালামাল!
- Published by:Dolon Chattopadhyay
Last Updated:
দুটি উপায় রয়েছে যাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতিকে হারানো সম্ভব।
#নয়াদিল্লি: দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৬.৯৫ শতাংশ। বাজার আগুন। মধ্যবিত্তের পকেটে টান। এই পরিস্থিতি আর্থিক এবং বিনিয়োগকেও সরাসরি প্রভাবিত করে। বিশেষ করে ফিক্সড ডিপোজিটের মতো স্থির আয়ের ক্ষেত্রগুলি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। কারণ মুদ্রাস্ফীতির হার এই ক্ষেত্রগুলিতে যে রিটার্ন পাওয়া যায় তার থেকে বেশি। এর অর্থ, বিনিয়োগকারীর টাকা একপ্রকার জলে যাচ্ছে। সেভিংস অ্যাকাউন্ট, সরকারি বন্ড এবং অন্যান্য ফিক্সড রিটার্ন ইন্সট্রুমেন্টে এমনিতেই কম রিটার্ন মেলে। মুদ্রাস্ফীতির ফলে আদতে তা আরও কমে যায়।
শুধু তাই নয়, মুদ্রাস্ফীতির ফলে মানুষ খরচ কমিয়ে দেয়। ফলে ভোক্তা ব্যয় থেকে বিনিয়োগ চক্র হয়ে সরকারি নীতি, অর্থনীতির প্রতিটা ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে। বিনিয়োগকারীদের মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বোঝা এবং তা কমানোর উপায় খোঁজা গুরুত্বপূর্ণ। মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার পৌঁছেছে ৬.৯৫ শতাংশে। গত মাসেই তা ছিল ৬.০৭ শতাংশ। এক মাসেই এই হার বাড়ল প্রায় ১ শতাংশের কাছাকাছি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার টলারেবল লিমিট ৬ শতাংশ। মার্চে স্পষ্টত সেটা লঙ্ঘিত হয়েছে। এই নিয়ে টানা তৃতীয় মাস এমনটা হল। মার্চ মাসে খাবারের দাম ৭.৬৮ শতাংশ বেড়েছে। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ৫.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। যাই হোক, এখানে দুটি উপায় রয়েছে যাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতিকে হারানো সম্ভব।
advertisement
advertisement
ইক্যুইটি: এতে বিনিয়োগে ঝুঁকি রয়েছে। তবে উচ্চ হারে রিটার্নও পাওয়া যায়। সাধারণত বার্ষিক ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে সুদ মেলে। বিপরীতে বেশিরভাগ স্থায়ী আমানতে ৪ থেকে ৬ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। তাই দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক লক্ষ্যে মুদ্রাস্ফীতিকে হারাতে ইক্যুইটি বিনিয়োগের বিকল্প নেই। তবে বিনিয়োগকারী কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত তা বুঝেই ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করা উচিত। স্বল্পমেয়াদে ইক্যুইটি বিনিয়োগ সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এতে বিনিয়োগ করতে চাইলে দীর্ঘমেয়াদে করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
advertisement
সোনা: মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়তে বরাবর হলুদ ধাতুর উপরই আস্থা রেখেছন বিনিয়োগকারীরা। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে এটা বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিওর মান রক্ষা করে। সোনার মতো সম্পদের অভ্যন্তরীণ মূল্য রয়েছে যা সীমিত সরবরাহের কারণে বাড়ে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে বন্ডের মতো অন্যান্য সম্পদ শ্রেণীর তুলনায় সোনার মান বজায় রাখাও সহজ হয়। তাছাড়া পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য এনে সামগ্রিকভাবে আরও ভালো ঝুঁকি-সামঞ্জস্যপূর্ণ আয়ের দিকে নিয়ে যায়। বিশ্ব গোল্ড কাউন্সিলের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির প্রতি এক শতাংশ বৃদ্ধিতে, ভারতে সোনার চাহিদা ২.৬ শতাংশ বাড়ে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সব লেটেস্ট খবর ( Business News in Bengali) নিউজ 18 বাংলা-তে পেয়ে যাবেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের টিপস (সেভিংস ও ইনভেস্টমেন্ট টিপস) ব্যবসার উপায়ও জানতে পারবেন। দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
April 17, 2022 10:35 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
মুদ্রাস্ফীতির ফলে কমছে সুদ, নতুন বছরে এই দুই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলেই মালামাল!