Alipurduar: জানেন কি! কামাখ্যাগুড়ির আদি মা কামাখ্যাধামে অম্বুবাচীর পরে কি হয়!

Last Updated:

'আদি কামাখ্যা ধাম' ,যে নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লোককথার এক ইতিহাস। কোচ রাজার স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানে রয়েছে দেবী কামাখ্যার মন্দির।অম্বুবাচীর পর এই মন্দিরে আয়োজিত হয় দেবীর পুজো ও মেলার।

+
title=

#আলিপুরদুয়ার : 'আদি কামাখ্যা ধাম' ,যে নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লোককথার এক ইতিহাস। কোচ রাজার স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানে রয়েছে দেবী কামাখ্যার মন্দির।অম্বুবাচীর পর এই মন্দিরে আয়োজিত হয় দেবীর পুজো ও মেলার। যদিও দেবী কামাখ্যার মন্দির একমাত্র অসমে রয়েছে বলে সকলে জানেন। এই ধামের পরিচিতি বাড়েনি তেমনভাবে। তবে কামাখ্যাগুড়ি এলাকার মানুষের কাছে পবিত্র ধাম এই আদি মা কামাখ্যার মন্দির। সেই প্রাচীন ধামে মহা ধুমধামের সঙ্গে পালিত হচ্ছে অম্বুবাচীর মেলা। এলাকাবাসীদের বিশ্বাস মনষ্কামনা পূরণ করেন দেবী। এই মন্দিরে পুজোর ধরন আলাদা। কোচ রাজার সময়কাল থেকে পুরোহিত নয় কবিরাজ দেবীর পুজো করে থাকেন।
 
 
advertisement
বিশেষ পুজো : মন্দির চত্বরে কলাগাছের কাণ্ডকেটে তৈরি করা হয় ভেলা। রঙবেরঙের পতাকা দেওয়া হয় ভেলার চারপাশে।পুণ্যার্থীরা ভেলাতেই বাতাসা,ফুল দেন।মোমবাতি,ধূপকাঠি জ্বালিয়ে পুজো দেন।প্রাচীনকাল থেকে এভাবেই ভেলা পুজো হয়।সকলের বিশ্বাস ভেলা মারফত দেবীর কাছে ভক্তদের বার্তা পৌঁছে যায়।
advertisement
 
 
মন্দিরের পুরোহিত : বর্তমানে মন্দিরে দুজন পুরোহিত রয়েছেন। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে। কিন্তু অম্বুবাচীর পরের পুজো করেন কবিরাজ-ই।
advertisement
 
 
পুজোর ধরণ : শান্তিমন্ত্র,জলমন্ত্রের মাধ্যমে পুজিত হন দেবী। পাশাপাশি তেত্রিশ কোটি দেবদেবী পুজিত হন। কোচ সম্প্রদায়ের মাসান বাবার পুজো হয় এই মন্দিরে।
advertisement
 
 
গুগল লোকেশন :
Aadi Maa Kamakhya Dham
 
আদি কামাখ্যা ধামের ঠিকানা : কামাখ্যাগুড়ি, বোচামারি রোড, পিনকোড : ৭৩৬২০২
advertisement
 
 
লোকমুখে শোনা যায় প্রায় দুশ বছর আগে কোচবিহারের তৎকালীন রাজা এখানে মা কামাখ্যা দেবীর পূজো শুরু করেছিলেন। তার পর থেকে এখানে গড়ে ওঠে আদি কামাখ্যা ধাম।লোকশ্রুতি থেকেই জানা যায়,তৎকালীন কোচবিহার রাজ্যের রাজা শিকারে আসতেন এই আঠিয়া মোচার জঙ্গলে।জঙ্গলের পাশে নলখাগড়ায় ভরা এই স্থানটিতেই একদিন রাজার প্রিয় হাতিটি কাদায় আটকে যায়। কিন্তু রাজার প্রজারা অনেক চেষ্টা করেও হাতিটিকে সেখান থেকে ওঠাতে পারে নি। সেই কারণে রাজা এক প্রকার বাধ্য হয়ে ছাউনি ফেলেছিলেন এই ধামের জমিতে। সারারাত ওই ছাউনিতেই শুয়ে বসে রাজা তার প্রিয় হাতির চিন্তায় পায়চারি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
advertisement
 
ঘুমের মধ্যেই মা কামাখ্যা স্বপ্নাদেশে এখানে তাঁর পূজো দিতে বলেন রাজাকে, স্বপ্নাদেশ পেয়েই স্থানীয় একজন কোচ পুরোহিতের সহযোগিতায় মা কামাখ্যা দেবীর পূজো দেন পুজো দেবার পর রাজার প্রিয় হাতিটি নিজে নিজেই কাদা থেকে ডাঙায় উঠে আসে। রাজা মায়ের এই কৃপায় আপ্লুত হয়ে পড়েন। লোক মুখে এই অলৌকিক ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে। আশে পাশের কোচ বা রাভা জনজাতির মানুষেরা পরবর্তীতে এই স্থানে খড় দিয়ে একটি চালা তৈরী করে মায়ের পূজো দিতেন, শোনা যায় মায়ের নির্দেশেই সেই সময় থেকেই প্রতি বছর একই নির্ঘন্ট মেনে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের পূজোর সময়ই এই মন্দিরেও পূজো শুরু হয়, প্রাচীন রীতি অনুযায়ী অম্বুবাচী ছেড়ে গেলেই পূজো শুরু হয়।
advertisement
 
এক সময় এই ধামে শুধু মা কামাখ্যার পূজো হতো, সঙ্গে ব্রম্মা, বিষ্ণু মহেশ্বরের, পরবর্তী কালে গ্রামের মঙ্গল কামনায় লোক বিশ্বাস অনুযায়ী মন্দির প্রাঙ্গনেই বেশ কয়েটি উপ দেবতা বা লৌকিক দেবতার থানস্থাপন করে পুজো শুরু হয়। আজও এখানে মুলত কোচ এবং রাজবংশী জনগোষ্ঠীর মানুষের সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রামের অন্যান্য অংশের মানুষেরাই এই পূজোর আয়োজন করে আসছেন।এই ধামের নামেই আলিপুরদুয়ার জেলার কামাখ্যাগুড়ির নাম করণ হয়েছে বলে জানা গেছে এই মন্দিরের ইতিহাস থেকে। এই ধামকে ঘিরে আরও অনেক তথ্য ,কাহিনীও লোকশ্রুতি আছে। সেই সঙ্গে ধামের পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটিয়ে ধামটিকে একটি বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান হিসেবে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্ঠাও চলছে।
 
 
 
Ananya Dey
view comments
বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Alipurduar: জানেন কি! কামাখ্যাগুড়ির আদি মা কামাখ্যাধামে অম্বুবাচীর পরে কি হয়!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement