আলিপুরদুয়ার: প্রতিবছর বর্ষায় এক খণ্ড বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয় বক্সা পাহাড় লাগোয়া গাঙ্গুটিয়া বনবস্তি। গাঙ্গুটিয়া নদী ফুলেফেঁপে উঠলে এই সমস্যা হয়।বাসিন্দারা জানান এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। গাঙ্গুটিয়া নদীর পাড় ভাঙার কারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীরা।গত তিন বছর ধরে প্রতি বর্ষায় রুদ্ররূপ ধারণ করছে ভুটান পাহাড় থেকে বয়ে আসা গাঙ্গুটিয়া নদী। কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১১/১৫৩ পার্টের গাঙ্গুটিয়া বনবস্তি এলাকায় বসবাস ৩৫০ জনের। গ্রামবাসীরা কৃষিকাজ ও পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হতেই ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা গাঙ্গুটিয়া নদীর জল বাড়তে শুরু করে।যা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এলাকাবাসীদের কাছে।
এলাকার প্রায় ১২ বিঘা জমি গাঙ্গুটিয়া নদীর জলে চলে গিয়েছে। বনবস্তি বাসীদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের দ্বারে যাওয়া হচ্ছে প্রতিবছর। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এদিকে নদী পাড় ভাঙনের কারণে নিঃশেষ হতে চলেছে যোগাযোগের রাস্তা। রাতের বেলা গ্রামের কোনও ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গ্রাম থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। অনেক সময় এইকারণে মৃত্যু হয় অনেক রোগীর।
আরও পড়ুনঃ ভারত-ভুটান সীমান্ত পাশাখা দিয়ে ফের শুরু ট্রাক চলাচলপ্রশাসনের কাছে গিয়ে কোনও লাভ না মেলায় ক্ষোভ জমছে এলাকাবাসীদের মনে। তাদের কথায় এভাবে চলা যায় না। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলন হবে। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ গণেশ মাহালি জানান, গাঙ্গুটিয়া বনবস্তিবাসীদের অসুবিধা হচ্ছে, এটি ঠিক কথা।
আরও পড়ুনঃ 'দুয়ারে চিতা'! ফের দেখা মিলল শিলবাড়িহাটের ঘাটপাড় এলাকায়, আতঙ্ক!নদী এখন এগিয়ে এসেছে লোকালয় পর্যন্ত। হয়ত এই পাড় ভাঙনের সমস্যার সমাধান না হলে বনবস্তিটিও আর থাকবে না। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। গাঙ্গুটিয়া নদীর পাড়ে পাকা বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
Ananya Deyনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar, Kalchini, River erosion