খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত গোবিন্দনগর মৌজার মহিষা গ্রামে রয়েছে মনসা দেবীর মন্দির। অনেকে এই মন্দিরকে মাদপুরের মনসা দেবীর মন্দির বলেও ডাকেন। খড়গপুর থেকে হাওড়াগামী রেললাইনের পাশে মাদপুরের কাছে ফাঁকা মাঠে মনসাদেবীর অবস্থান। মাদপুরের এই মনসাদেবীর মন্দিরকে নিয়ে বহু অলৌকিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে।
প্রচলিত আছে, দেবীর কাছে মনস্কামনা জানালেও দেবী তা পূরণ করেন।আবার, অনেকে আসেন মানত পূরণ করতে। বহু প্রাচীন সময় থেকেই পূজিতা হয়ে আসছেন মাদপুরে দেবী মনসা। অতীতে এই অঞ্চলটি জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। যা মা মনসার জঙ্গল নামেই পরিচিত ছিল। প্রায় ৪০০ বছর আগে এই মহিষা গ্রামটি ছিল জমিদার যোগেশ্বর রায়ের তালুক। কথিত আছে, জমিদার জঙ্গল পরিষ্কার করে ওই অঞ্চলে দেবীর নিয়মিত পুজোর ব্যবস্থা করেন।বর্তমানে মা মনসার স্থান বলে যেখানে ভক্তরা পুজো করেন, সেখানে আগে ছিল এক বিরাট উইয়ের ঢিপি। কথিত আছে, ওই ঢিপির নীচে প্রচুর সাপ থাকত।
advertisement
আজ আর সেখানে জঙ্গল নেই। নেই পুরোনো গাছগাছালিও। বর্তমানে, ওই উইয়ের ঢিপিকে কংক্রিটে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তৈরি করা হয়েছে পদ্মফুল। এই পদ্মফুল দেবী মনসার প্রতীক।সকাল থেকে বহু ভক্তের ভিড় জমে এই মাদপুরের মনসাদেবীর মন্দিরে। এখানে দেবীকে নিজেকেই পুজো করতে হয়। কেউ কেউ আবার মনস্কামনা জানিয়ে প্রতিষ্ঠিত পুকুর থেকে দণ্ডি কেটে মায়ের মন্দিরে আসে।সব মিলিয়ে বছরে নির্দিষ্ট দিনের পাশাপাশি শনি এবং মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে মনসা দেবীর মন্দিরে।