বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটে গেল আরও এক বিতর্কিত অধ্যায়। রানী শিরোমণির গড়ে কয়েক লাখ টাকা খরচে তৈরি সরকারি কটেজ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র গড়বেতার গনগনিতে তৈরি হওয়া কটেজে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনের এই উদ্যোগ ঘিরে গভীর রাতে উত্তেজনা তৈরি হয় কর্ণগড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত্রি ১২ টা নাগাদ গড়বেতা বিডিও অফিসের কয়েকটি গাড়ি কর্ণগড়ের শিরোমণির গড় পর্যটন কেন্দ্রে আসে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নাড়া পোড়াতে গিয়ে জমিতে কেটে রাখা ধান পুড়ে ছাই!
মাঝরাতে গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় গ্রামবাসীরা জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, গড়বেতা ১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মীদের বলা হয়েছে কর্ণগড়ের কটেজ গুলিতে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র গড়বেতার গনগনি পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পুরোটাই ছিল মৌখিক নির্দেশ। এরপর, গ্রামবাসীরা ওই সরকারি কর্মীদের কাছে সরকারি অর্ডার দেখতে চান। তবে, তাঁদের কাছে সেসব কিছুই ছিল না। এরপর গ্রামবাসীরা কর্ণগড় থেকে আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার কাজে বাধা দেন। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হয় গড়বেতা পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক কার্যালয়ের কর্মীদের।
আরও পড়ুনঃ সারাদিন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করা হল বিশ্ব এডস দিবস
শুক্রবার সকালে এই বিষয়ে গড়বেতা ১ নং ব্লকের বিডিও ওয়াসিম রেজা জানিয়েছেন, "জেলা প্রশাসনের তরফে আমার কাছে নির্দেশ আসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ। তারপরই আমরা কয়েকটি গাড়ির ব্যবস্থা করে কর্মীদের পাঠাই।" তবে, কর্মীদের হাতে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে তিনি স্বীকার করে নেন। অপরদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গনগনি পর্যটন কেন্দ্র অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ এসেছে। এই মুহূর্তে যেহেতু রানী শিরোমণি'র গড়ে সংস্কারের কাজ চলছে, তাই কিছু আসবাবপত্র সাময়িকভাবে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে, শুধু কর্ণগড় এলাকাবাসী নন, শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষরাও বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
Partha Mukherjee