মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে আয়োজন করা হয় গনবিবাহ অনুষ্ঠানের। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী থেকে বিধায়ক ও বিশিষ্ট জনেরা। এই গন বিবাহের প্রধান উদ্যোক্তা সনাতন দাস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ছোট থেকেই এটি নেশা হয়ে ওঠে। যখন দেখলাম নিজেরই পাড়ার, নিজেরই পাশের বাড়ির মেয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিয়ের নামে বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা থেকে ছেলেরা এসে পাঁচ হাজার দশ হাজার টাকা পাত্রীর বাবাকে দিয়ে বিয়ে করার নামে মেয়েকে নিয়ে চলে যায় এবং সেই মেয়ে আর ফিরে আসে না, তাই তারপর থেকে এসবের প্রতিবাদে সোচ্চার হন সনাতন দাস।
advertisement
আরও পড়ুন : বদল হবে না 'পাঠান'-এর নাম! শাহরুখের সিনেমার নয়া লুক নেটমাধ্যমে
আরও পড়ুন : রূপের রানি শুভশ্রী! KIFF-এ কালোর ছোঁয়ায় শাড়িতে মোহময়ী! দেখুন ভাইরাল সেই লুক
সনাতন জানান, "এইসব ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়েই এই দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ান হয়ে উঠেছে আমাদের। শুধু পাত্রীকে বিয়ে দেওয়া নয়, তাঁর সঙ্গে আলমারি, পালঙ্ক এবং তাঁদের উভয় পক্ষের বাড়ির লোকজনকে ভুরিভোজ করান সবই থাকে। বিয়ের পরও বহু পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি এবং সাহায্য করার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, যতদিন বাঁচবো এই গন বিবাহের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবো।" তিনি জানান, ২০০৭ সালে এই কাজে যোগ দেন তিনি। এরপর প্রতি বছরই বেশ কয়েকবার জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকার দুঃস্থ পরিবারের মেয়েদের জন্য উপযুক্ত পাত্র খুঁজে বিয়ের ব্যাবস্থা করে চলেছেন সনাতন বাবু। তিনি জানান, তাঁর লক্ষ্য একটাই নাবালিকা বিবাহ বন্ধ করা এবং নারী পাচার বন্ধ করা। আর এই উদ্যোগ নেওয়ার পর তাঁর লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে জঙ্গলমহলে ওইসব এলাকায় নাবালিকা বিবাহ ও নারী পাচারের ঘটনা একদমই নেই বললেই চলে।
Partha Mukherjee