ছোট থেকেই অভাবের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠা। স্কুল জীবন কেটেছে দুরন্তপনায়। ছোটবেলায় যোগাসন থেকে শুরু করা। কবাডি হোক কিংবা অন্য খেলা ছোট-বড়দের সাথে ছোটবেলায় খেলে বেড়াতেন প্রণতি। তবে ছোট থেকেই তার ইচ্ছে জাগে জিমন্যাস্টিক্সের প্রতি। শুরু হয় ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে প্রস্তুতি। এলাকার দুই শিক্ষকের হাত ধরে শুরু তাঁর জীবনের জার্নি। এরপর সল্টলেকের স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়াতে পা রাখা। একে একে ২০ বছরের প্রশিক্ষণে নানান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে অংশগ্রহণ। প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা থেকে গিয়েও দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন পিংলার প্রণতি।
advertisement
প্রণতির সামনে সিনিয়র ন্যাশনাল গেমস এবং বিশ্বকাপ। ওড়িশার ভুবনেশ্বরে এই প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ার্ল্ড কাপের। গোয়া ন্যাশনাল গেমস খেলার পর বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। মেয়ের সাফল্যে খুশি তাঁর বাবা-মা।
প্রণতি চায় প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকা এই পিংলা থেকে উঠে আসুক আরও প্রণতি। ছোটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রণতি নায়েকের। যেভাবে কষ্ট করে তার এই পথচলা, ইচ্ছুক ছোটদের শিখিয়ে শীর্ষস্তরে পৌঁছে দিতে চান জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েক।
গোটা দেশ তাকিয়ে পিংলার মেয়ের দিকে। ভারতের হয়ে, পৃথিবীর কাছে সারা দেশের নাম উজ্জ্বল করুক তাদের মেয়ে, আশাবাদী প্রণতির বাবা-মা।
রঞ্জন চন্দ