খড়গপুর গ্রামীণের বাড় গোকুলপুরের বাসিন্দা রবি হেমব্রম। প্রত্যন্ত এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৮ বছর বয়স থেকেই সঙ্গীতে মনোনিবেশ করেন। দিন যত গড়িয়েছে একলব্যের মত দূর থেকে শিখে রপ্ত করেছেন নানান বাদ্যযন্ত্র। বর্তমানে এই শিল্পীর বয়স প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই। এখনও দিব্যি গান-বাজনা করেন। এই করেই সংসার চালাচ্ছেন তিনি। বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে, বৌমা, নাতিকে নিয়ে ভরা সংসার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। মূলত এই প্রবীণ শিল্পীর রোজগারেই চলে গোটা সংসার।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের কোথায় কী, এখনই পানীয় জলের হাহাকার কালচিনির শ্রমিক মহল্লায়
এত কষ্ট করলেও শিল্পী হিসেবে রবি হেমব্রম সরকারি স্বীকৃতি পাননি। ফলে শিল্পী ভাতার টাকা পান না। কোনরকমে নানান জায়গায় বাজনা বাজিয়ে নিজে গান গেয়ে দু-চার পয়সা রোজগার করেন। তাতে কি আর সংসার চলে?
বাড় গোকুলপুর এলাকায় ছোট্ট ছিটে বেড়ার বাড়িতে থাকেন রবি ও তাঁর পরিবার। সরকারি সাহায্যের জন্য বারবার আবেদন জানিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই প্রবীণ শিল্পী। তাঁর এই দূরাবস্থা দেখে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে, সরকার বা বড় বড় সংগঠন শুধুই কি বিখ্যাত মানুষদের মনে রাখবে? তবে কি ভাঙা ঘরে ঢুকবে না চাঁদের আলো? সামান্য কিছু সাহায্যই আজীবন মেহনত করে আসা শিল্পী রবি হেমব্রমের পায়ের তলার জমিটাকে শক্ত রাখতে পারে।
রঞ্জন চন্দ