স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত হাসপাতাল সবই রয়েছে ঘাটাল শহরে। শহরে যাওয়ার একমাত্র উপায় ঝুমি নদীর উপর ছোট-বড় বাঁশের সাঁকো পারাপার। প্রতিবছর বর্ষা আসলেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মনসুকার দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ থেকে ৫০ টি গ্রাম। এছাড়াও পাশের জেলা হুগলীর মানুষও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। সাঁকো ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে সমস্যায় পড়তে হয় হাজার হাজার মানুষকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জরাজীর্ণ রেল কোয়ার্টারের উপর ভেঙে পড়ল প্রকাণ্ড গাছ
বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলপড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রীরা নৌকো চড়ে ঝুমি নদী পারাপার করেন। মনসুকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানালেন পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা তিনি বলেন যে আগের বছর নৌকা পারাপারের সময় ডুবে ছিল নৌকো আর তাতেই যাত্রী ছিলেন তিনি। মনসুকা ঝুমি নদীর উপর একটি কংক্রিটের সেতুর দাবি দীর্ঘ কয়েক দশকের। বর্তমান সরকার এলাকাবাসীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে শুরু করেছেন ঝুমি নদীর উপর ব্রিজ তৈরির কাজ।
আরও পড়ুনঃ এখনও রাস্তা তৈরি না হওয়ার প্রতিবাদে পোস্টার দাসপুর এলাকায়
অভিযোগ দু'বছর ধরে ব্রিজ তৈরির কাজ চললেও এখনও কিছুই কাজ এগোয়নি। ক্ষোভে ফুঁসছেন ঘাটালের মনসুকা এলাকার মানুষ, স্থানীয়রা চাইছেন দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ করে প্রতিবছরের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি বর্তমান সরকার। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দিলিপ মাঝি মনসুকা এলাকার মানুষজনের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন প্রতিটি ঘাটে পর্যাপ্ত নৌকো দেয়া হয়েছে পারাপারের জন্য আর ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু নদীতে জল বাড়ার জন্য নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে, খুব শীঘ্রই ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হবে।
Partha Mukherjee