এই বাড়িতে পূজার সূচনা হয় বাড়ির বড় মেয়ের জন্মের তিন বছর আগে ১৯৮৭ সালে। বাড়ির কর্তা-গিন্নির দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছরে কার্তিক পূজার আগের রাতে আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবদের কেউ তাঁদের বাড়ির সামনে কার্তিক রেখে যান। সাধারণত গৃহস্থ বাড়িতে কার্তিক রেখে গেলে পরপর তিনবছর পূজো করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সিনহা বাড়িতে সেই ৩৬ বছর আগে শুরু হওয়া পূজা চলছে আজও নিষ্ঠা সহকারে।
advertisement
আরও পড়ুন - এবার কী স্তন দিয়ে মোবাইল চার্জ করছেন! উরফি জাভেদের গলায় লাগানো ইউএসবি, বুকে দুটি মোবাইল
এই বাড়ির কার্তিক ফেলা হয় না। এই কার্তিক ঠাকুরের বিসর্জন হয় নিয়ম মেনে। প্রতিবছরই নতুন কার্তিক কিনে আনা হয় মৃৎশিল্পালয় থেকে। আগে কার্তিকের উচ্চতা ৫ ফুট থাকলেও বয়স জনিত কারণে এবং বিসর্জনের ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ায় কার্তিকের উচ্চতা কমিয়ে ফেলেছেন এই সিনহা পরিবার। প্রতিবারেই পূজায় ভিড় জমান আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন - ব্রেন ক্যান্সারে ভুগছিলেন, ছেলেবেলা বাংলায় কাটানো অভিনেত্রীর দলজিতের লড়াই শেষ
কার্তিক পূজা উপলক্ষে প্রথমে ঘট ডুবিয়ে আনা হয়। এরপর দশ রকম ফলমূল নৈবদ্যর সঙ্গে থাকে কার্তিকের স্পেশাল কেক।সিনহা পরিবারের দুই মেয়ে বলে বাবা-মা কে কার্তিক দিয়ে গেছিল তার বাপের বাড়ির লোকজন। সেই থেকে সন্তান কামনায় এই পুজো চলে আসছে।দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে আমরাও এই পুজোতে অংশগ্রহণ করি। আমাদের কার্তিককে বিসর্জন দিয়ে দিতে হয় যাতে আগামি বছর নতুন প্রতিমা কিনতে পারি। অন্যান্য নৈবেদ্যের সঙ্গে থাকে স্পেশাল হিসেবে কেক। পাড়া-প্রতিবেশিরাও এই পূজোতে অংশগ্রহণ করে উৎসাহের সঙ্গে।
Partha Mukherjee #