পেশায় জয়দেব বাবু একজন চপ বিক্রেতা। প্রতিদিন সকাল হলেই চপ, পিয়াজি, মুড়ি ঘুঘনি, পাকুড়ি সহ বিভিন্ন তেলেভাজার ডালা সাজিয়ে বসেন দোকানে। একসময় ঝন্টু দার (জয়দেব বরাট) প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল, ফুটবল পাগল ঝন্টু দা ১৯৮৬ সাল থেকেই ছিলেন মারাদোনার ভক্ত। ফুটবল প্রেমী জয়দেব বাবুর মারাদোনার পরেই পছন্দ হয়ে পড়ে মেসির খেলা। আর তারপর থেকেই তিনি একনিষ্ঠ পাগল ভক্ত মেসির। সোমবার যখন ফাইনাল ম্যাচ চলে তখন তার মধ্যে ছিল টানটান উত্তেজনা। সারাক্ষণ তিনি রিমোট হাতে বসে খেলা দেখছিলেন টিভিতে। মাঝখানের দশ মিনিট কিছুটা হলেও বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন ঝন্টু দা।
advertisement
আরও পড়ুন - কাকদ্বীপ থেকে কলকাতার পথ পাড়ি, নিরলস ক্রিকেট প্রেম, বাংলা দলে সত্যম
আরও পড়ুন - IPL Auction 2022: মাথায় হাত কেকেআরের! দু দিন বাদেই আইপিএলের নিলাম কীভাবে ফাঁকা পকেটে দল গোছাবে নাইটরা
তবে শেষ পর্যন্ত মেসির খেলায় ৩-২ গোলে আর্জেন্টিনা জিতে যাওয়ায় আনন্দে কেঁদে ফেলেন জয়দেব বাবু। তবে সোমবার সকাল হতেই তিনি দোকানে হাজির হন মেসি লেখা নীল সাদা জার্সিতে এবং গোটা দোকান সাজিয়ে ফেলেন নীল সাদা বেলুনে। তবে এদিন দোকানে এসে চপ পেঁয়াজি ভাজার পাশাপাশি ছিল মিষ্টির ভাঁড়। একে একে পথচলতি মানুষের মুখে তুলে দিলেন সেই মিষ্টি। মিষ্টি বিলোতেও শুরু করেন রাস্তার পথ চলতি মানুষের মধ্যে। তবে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দুঃখ একটাই মেসির অবসর নেওয়া। যদিও মাঝখানে চার বছর হাতে রয়েছে তার মধ্যে অনেক কিছুই ঘটতে পারে বলেই ব্যক্ত করলেন তিনি। পথ চলতি মানুষ তার হাতে মিষ্টি খেয়ে তারাও দেদার খুশি। অন্য এক মেসি ভক্ত বললেন, আমি একজন মেসি ভক্ত হয়ে আরেক মেসি ভক্তের হাতে মিষ্টিমুখ করতে পেরে গর্বিত।
Partha Mukherjee