ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ওড়িশা সীমান্তবর্তী সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী দাঁতনে ব্রিটিশ আমলে গড়ে উঠেছিল মুন্সেফ কোর্ট। এলাকার দেওয়ানি মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তির জন্যেই গড়ে তোলা হয়েছিল এই আদালত। তবে দাঁতন মুন্সেফ কোর্টের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল এখনও পর্যন্ত অধরা দাঁতনবাসীর কাছে। সব ইতিহাস কালের আচ্ছাদনে তমসাবৃত।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ছেলেকে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন স্টেশনে, আর বাড়ি ফিরলেন না মা
advertisement
দাঁতন থেকে এযাবৎ কাল অবধি লিখিত ও প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষকেরা মনে করেন বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে দাঁতনে কোর্ট স্থাপিত হয়েছিল। যা সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের পরবর্তী কোনও সময়ে। ১৮০৩ সালে দেবগ্রামে মারাঠা-বর্গী ও ইংরেজদের মধ্যে বহু আকাঙ্ক্ষিত সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে এবং সুবর্ণরেখা নদী ওড়িশা ও বাংলার মধ্যে সীমানা নির্ধারিত হওয়ার ফলে সীমান্তবর্তী দাঁতনের গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিল।
১৮২৫ সালে ওড়িশা-ট্রাঙ্ক রোড তথা ওটি রোড চালু হলে যাতায়াতও সহজলভ্য হয়ে ওঠে। অনেক পরে দেওয়ানি বিচারকার্যের সুবিধার জন্য ইংরেজ মেদিনীপুর সদর আদালতের সাব-অর্ডিনেট হিসেবে দক্ষিণ সীমান্তে দাঁতনে মুন্সেফ কোর্ট স্থাপন করেছিল। সেই কোর্টেই চলত কাজ। দাঁতনের কৃষ্ণপুর মৌজায়।গড়ে উঠেছিল কোর্ট। বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশক পর্যন্ত এখানেই কাজ চলত। পরে কারকপুরে বর্তমান জায়গায় উঠে আসে আদালত।
আরও পড়ুন: সংসার চালাতে হিমশিম দিনমজুর বাবা! শ্বাসকষ্ট নিয়ে কাজ করেও উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০% পেয়ে নজির প্রীতির
নব্বই-এর দেওয়ানির সঙ্গে যুক্ত হয় ফৌজদারি মামলা। তখন থেকেই কৃষ্ণপুরের আদালত ভবন পরিত্যক্ত। তবে প্রথম আদালত হিসেবে সাক্ষ্য বহন করছে ভাঙাচোরা ইমারত। ভেতরে বসছে আসামাজিক আড্ডা। যেখানে কয়েক দশক আগে চলত আইনের কথাবার্তা ও নির্দেশ প্রদান। সেই ভবনটি সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি দাঁতনের গবেষক ও দাঁতনবাসীর।
রঞ্জন চন্দ