তবে পেশাগতভাবে এই পাঙ্খিয়া বানানো কেন টিকিয়ে রেখেছেন বছর ৬৭ এক বৃদ্ধ? হাতে বানিয়ে বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করেন এই পাঙ্খিয়া।পশ্চিম মেদিনীপুরে নারায়ণগড় ব্লকের আসন্দা প্রহরাজপুর গ্রামের অনন্ত বর। তিনি এখনো পাঙ্খিয়া বানিয়ে বিভিন্ন বাজারে কিংবা মেলায় বিক্রি করেন। ছোট থেকে বাবার কাছ থেকে শিখে বানাচ্ছেন পাঙ্খিয়া। তবে পুরনো দিনের থেকে বর্তমানে চাহিদা কমেছে পাঙ্খিয়ার। জানা গিয়েছে তাল গাছ থেকে পাতা এনে, তাকে জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। পরে সেই পাতা শুকিয়ে কেটে একের পর এক পাতা বুনে তৈরি করা হয় এই পাঙ্খিয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: মাথায় ফুটে উঠল CPIM, কাস্তে-হাতুড়ি! তুমুল ভাইরাল ভুবন! ভিডিও চমকে দেবে
তবে বর্তমান সময়ে সেই পাঙ্খিয়া চাহিদা কমেছে। বাজারে বিক্রি হয়েছে ছাতা কিংবা রেনকোটের। বাজারে এক একটি পাঙ্খিয়া বিক্রি হয় ৭০, ৮০ কিংবা বড়গুলো ৯০ টাকা করে। রথের মেলায় হাতেগোনা কয়েকটি পাঙ্খিয়া বিক্রি করেছেন অনন্ত বাবু। কালের বিবর্তনের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে হাতে তৈরি পাঙ্খিয়া। সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ মজেছে নতুন আবিষ্কারে। ফাঁপরে পড়ছেন গ্রামীণ শিল্পীরা। গ্রামীণ শিল্পী ভাটা পড়ায় সমস্যায় গ্রামীণ অর্থনীতিও।
Ranjan Chanda