শুক্রবার সন্ধ্যা ছ'টা নাগাদ শহর মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে এই দুর্গাপুজো কার্নিভালের উদ্বোধন হবে বলে জানা গেছে। মেদিনীপুর শহরের বটতলা চক থেকে গোলকুঁয়ার চকের রাস্তায় অনুষ্ঠিত হবে কার্নিভাল। ওই রাস্তা সেজে উঠছে আলোকসজ্জায়। প্রায় প্রস্তুত মঞ্চ। কার্নিভাল মঞ্চে থাকার কথা জেলাশাসক আয়েশা রানী, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সহ জেলার মন্ত্রী ও বিধায়কদের। মেদিনীপুর শহরের মোট ২০টি পুজো কমিটির যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে এই কার্নিভালে। তবে, আশা করা হয়েছিল অন্তত ৩০-৩৫টি কমিটি যোগ দেবে! উল্লেখযোগ্য ভাবে, শহরের অন্তত ১০টি বড় পুজো বা নামকরা পুজো কমিটিই নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে এই কার্নিভাল থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্গা নয়, এই গ্রামে পুজো হয় অসুরের! পুজোর চারদিন ধরে চলে শোক পালন! জানুন
সূত্রের খবর বিবিগঞ্জ, অশোক নগর, রাঙামাটি, রবীন্দ্রনগর, সমাজবাড়ি (নজরগঞ্জ) প্রভৃতি পুজো কমিটি গুলি অংশ গ্রহণ করতে চলছে এই কার্নিভালে। থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান জানিয়েছেন, "কার্নিভালকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পৌরসভার তরফ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।" অন্যদিকে, কার্নিভালকে কেন্দ্র করে খড়গপুর শহরেও উৎসাহ, উন্মাদনা তুঙ্গে! পৌরসভার সামনে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয় পর্যন্ত রেলের রাস্তা জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে কার্নিভাল। অভিযাত্রী, তালবাগিচা সবুজ সংঘ, তালবাগিচা নেতাজি ব্যায়ামাগার, প্রেমবাজার, আদি পুজা কমিটি, বাবুলাইন সহ ১১টি কমিটি এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। লাগানো হবে ৬টি এলইডি টিভি। শুক্রবার সাধারণ মানুষকে এই কার্নিভালে আহ্বান জানানোর সাথে সাথে পৌরসভা সংলগ্ন তিনটি রাস্তা এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন পৌরপ্রধান প্রদীপ সরকার। উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পুজা কমিটি শোভাযাত্রা সহকারে নিজেদের থিম বা বিষয়বস্তু নিয়ে আজ পারফরম্যান্স তুলে ধরবেন বিচারকদের সামনে। সময় পাবেন ১০-২০ মিনিট। কোভিড অতিমারী, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব, ক্রীড়া, পরিবেশ প্রভৃতি একাধিক বৈচিত্র্যময় বিষয় তুলে ধরা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
Partha Mukherjee