বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড এবং ৪ জি র দাপটে হারিয়েছে সিনেমা হলের তকমা। সময় নষ্ট করে কেউ খুব একটা সিনেমা হল মুখী হচ্ছে না। কারণ একদিকে কাজের চাপ দ্বিতীয় সময়ের অভাব।এই দুইয়ের মধ্যেখান দিয়েই তারা সিনেমা হল এড়িয়েছেন।সিনেমা দেখছেন তারা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে সিনেমা মুক্তির কয়েক দিন মধ্যেই OTT প্লাটফর্মে। ফলে একটা সিনেমা নতুন বেরোনোর দু মাস তিন মাস আর কেউই অপেক্ষা করতে চাইছেন না।মুক্তি পাবার সঙ্গে সঙ্গেই তারা পেয়ে যাচ্ছেন তাদের অনলাইনে আর তাতেই তারা সেরে ফেলেছেন তাদের সিনেমা দেখার ইচ্ছে গুলো। আর এর ফলেই আস্তে আস্তে লোপ্ পাচ্ছে সিনেমা হলেরা। মেদিনীপুরের ১৫ বিধানসভার মধ্যে ঘাটাল মেদিনীপুর ও খড়গপুর এই তিনটি ডিভিশনে ১০-১২ টি করে বড় সিনেমা হল ছিল। এর সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট মিনি পর্দার ভিডিও হল ছিল খান দশেক। কিন্তু যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আস্তে আস্তে লোপ পায় সমস্ত সিনেমা হল গুলি। হাওয়া হয়ে যায় মিনি পর্দার ভিডিও হল।
advertisement
তবে এত কিছুর মধ্যে ও সেই ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু হওয়া মেদিনীপুরের সিনেমা হল হরি সিনেমা আজ ও কোনক্রমে টিকিয়ে রেখেছে তাদের অস্তিত্ব। কোন ক্রমে ভর্তুকি দিয়েই তাদের হল চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তারা চাইছেন সরকারি সাহায্য। এই হল কর্মচারী ও মালিক এক সময় সংখ্যা ছিল ৩০ থেকে ৪০ জন। সেই রমরমা বাজারে বেতনও ছিল অনেক বেশি। দিনরাত নাওয়া খাওয়া ভুলে তারা এই সিনেমা হলেই পড়ে থাকতেন।কিন্তু সেই কর্মীর সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে তিনজন। ঝাড়পোঁছ কেয়ারটেকার নিয়ে সংখ্যাটা দশ। তবে বেতন বাড়েনি, বেতন সেই সাড়ে তিন হাজার। ৬৭০ টা সিটের মধ্যে চারটি শো চালিয়েও আসছে না টাকা, ভরছে না দর্শক। দর্শকের অভাবে বেশিরভাগ শো বাতিল করতে হচ্ছে মালিককে। আর তাই প্রশাসনের সাহায্যের জন্যই তাকিয়ে রয়েছে এই সিনেমা হল গুলি।
আরও পড়ুন: প্রচুর লাভ! নিয়ম মেনে বাড়িতেই চাষ করুন এই মাছ! টাকার অঙ্ক অবাক করবে
এ বিষয়ে সিনেমা মহলের কর্মী সমিত কুমার দাস,পিনাকী চন্দ্ররা বলেন সেই তরুণ বয়স থেকেই এই হলে কাজ করছি। আর তখন ছিল এক অন্যরকম উন্মাদনা। কিন্তু অনলাইনের দাপটের জন্যই আজ সিনেমা হলের এই অবস্থা। জানিনা এটা কতদিন চলবে হয়ত যে কোনদিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আক্ষেপ এই হল কর্মচারীদের। তবে এবিষয়ে মেদিনীপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অনিমা সাহা বলেন, একদম অনলাইনের জন্যই সিনেমা হল গুলির এই করুণ অবস্থা। কোনক্রমে তারা টিকে রয়েছে।
Partha Mukherjee