আরও পড়ুন - BCCI Selection Committee: রজার বিন্নি আসতেই এবার চেতন শর্মার চাকরিতে কাঁচি! বোর্ডের অন্দরে জোর ফিসফাস
তাই নিজে পরিবার চালাতে এবং স্বনির্ভর হতে অবশেষে কাজ খোঁজা শুরু হয়। এমন সময় ছোটখাটো কাজ করার জন্য কোনরকমে চলে যাচ্ছিল সৌমেনের। কিন্তু এরপরই মহামারী হানা দেয় গোটা বিশ্বে। সেই মহামারী থেকে বাঁচতে টানা হয় দীর্ঘ লকডাউন। এমতাবস্থায় যেটুকু সামান্য আয় হতো তা হারিয়ে যায় সৌমেনের। সৌমেনের বন্ধু সেও বেসরকারি কোম্পানির কাজ হারিয়ে ফিরে আসেন বেঙ্গালুরু থেকে। বেকারত্বের জ্বালায় চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন দুই বন্ধু।
advertisement
এরপর দু’জন পরিকল্পনা করে নতুন এবং ইউনিক টাইপ কোন ব্যবসার। এরপরই রাতারাতি তারা শুরু করে দেন ভিন্ন স্বাদের চা ও কফি নিয়ে ব্যবসা। তাদের ভাবনা চিন্তা যে, উঠতি তরুণ তরুণীদের এবং কলেজ পড়ুয়াদের ভিন্ন স্বাদের জিরো পার্সেন্ট অ্যালকোহল মুক্ত চা খাওয়ানো। সেই নিয়ে প্রায় ৩৪ রকমের চা এবং প্রায় ১৬ রকমের কফি নিয়ে হাজির এই যুবক। মেদিনীপুর শহরে পুলিশ লাইন এলকায় তারা দোকান শুরু করেন। তাদের আস্তে আস্তে ব্যবসা বৃদ্ধি হয়। এই মুহূর্তে এই দোকানে সন্ধ্যে থেকে ভিড় জমে। হাজির হয় শহরের তরুণ তরুণী সহ পড়ুয়ারা। আর সেই ভিন্ন স্বাদের চা বিক্রি করেই সংসার হাল ধরেছে সৌমেন।
আরও পড়ুন - Malda News: ভূত চতুর্দশীতে পুজো হয় ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির মহাকালীর
তার প্রায় ৩৪ রকম চায়ের মধ্যে রয়েছে অ্যালকোহল মুক্ত হুইস্কি টি, রাম টি ভোদকা টি, রেড ওয়াইন টি, ব্রান্ডি, স্কচ, জ্যাক ড্যানিয়েল টিও। এক সাক্ষাৎকারে সৌমেন বলেন তার বন্ধুর সহযোগিতায় বেঙ্গালুরুর চায়ের চিন্তাভাবনায় এই দোকান শুরু করা। এরপর সেই চা মানুষের মুখে লেগে যায় এবং এর থেকে যা আয় হয় তাতেই সংসার চলে। উদ্দেশ্য, ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের চা এই শহর ও জেলার মানুষকে কাছে তুলে ধরা। আমাদের চা পুরোপুরি জিরো পার্সেন্ট এলকোহল যুক্ত। এই চা আর কোথাও পাওয়া যায় না এই জেলা ছাড়া।
Partha Mukherjee





