আরও পড়ুন: বৈকন্ঠপুর রাজপরিবারের ঐতিহ্যবাহী দধিকাদো উৎসবে মাতল জলপাইগুড়ি, দই মেশানো কাদায় রেঙে উঠল সবাই
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের একতাল গ্রামের প্রায় ৩০ টি পরিবার বাঁশের ঝুড়ি তৈরি করে। বেশ কয়েক পুরুষ ধরে তাঁরা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু বর্তমানে ঝুড়ি বানিয়ে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। বর্তমানে বাজারে প্লাস্টিক কিংবা অন্যান্য জিনিসের ব্যবহারের কারণে চাহিদা কমছে বাঁশের ঝুড়ির। অন্যদিকে বাঁশ কিনে ঝুড়ি বানিয়ে বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না প্রান্তিক এলাকার এই মানুষদের। বছরখানেকের মধ্যে বাঁশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে।
advertisement
একটি বাঁশ কিনতে এখন স৫০-১০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এদিকে একটি বাঁশ থেকে সর্বাধিক ৫ থেকে ৬ টি ঝুড়ি তৈরি হয়। একটি ঝুড়ি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়। ফলে সমস্ত খরচপাতি বাদ দিয়ে লাভ বলতে গেলে প্রায় কিছুই থাকছে না। এদিকে প্রতিদিন সংসার চালানোর খরচ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পারিবারিক পেশা ছেড়ে অন্য রোজগারের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছেন বাঁশের ঝুড়ির কারিগররা।
রঞ্জন চন্দ