ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের দেউলবাড় এলাকায় রয়েছে প্রাচীন শিব মন্দির। মনে করা হয় ষোড়শ শতকে রাজা চন্দ্রকেতু এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। আবার কারও মতে তৎকালীন সময়ে ময়ূরভঞ্জ রাজারা ছিলেন মারাঠাদের আশ্রয় এবং সমর্থনপুষ্ট। তৎকালীন সময়ে শত্রুপক্ষের উপর নজরদারি চালানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এই মন্দির। তবে জনশ্রুতি নানা থাকলেও মন্দিরের গঠনশৈলী এবং জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় এত সুন্দর ভাস্কর্য ও বিশ্বাস আপনাকে বারংবার টানবে। মন্দিরটিকে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে ওড়িশা রীতি অনুযায়ী মাকড়া পাথরের তৈরি এই মন্দির এবং যা পূর্বমুখী। বাইরে রয়েছে সুপ্রাচীন কাঁঠাল গাছ, যা নিত্য পুজো করা হয় এবং ভিতরে রয়েছে দেবাদিদেব মহাদেবের শিবলিঙ্গ। ভক্তদের বিশ্বাস যা মানত করা হয় তা অক্ষরে অক্ষরে ফলে যায়। প্রতিদিনই বেশ ভিড় লেগে থাকে এখানে। মন্দিরের চারপাশে বেশ কয়েকটি স্তম্ভ রয়েছে। তার উপর রয়েছে বৃষভমূর্তি।
advertisement
আরও পড়ুন : ছাতু খেয়েই কমবে ব্লাড সুগার ও ওজন! শুধু শরবতের বদলে খান এভাবে
শুধু তাই নয়, রামেশ্বর মন্দির থেকে অনতি দূরে রয়েছে তপোবন। যা মনে করা হয় বাল্মীকি মুনির সমাধিস্থল। চারিদিক গভীর জঙ্গলে ঘেরা একটি ছোট্ট মন্দির। শাল গাছের ছায়ায় এই মন্দির বেশ মন জুড়াবে আপনার। রয়েছে রাম-সীতার মন্দিরও। প্রাচীন বিশ্বাসে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসেন এখানে।
তবে চারিদিকে সবুজে ঘেরা এই ক্ষেত্র। বছরে নির্দিষ্ট সময়ে পুজো এবং ভক্তসমাগম হলেও প্রতিদিনই বেশ ভিড় থাকে এখানে। শহরের ক্লান্তি কোলাহল ভুলে বহু পর্যটক ঘুরতে আসেন জঙ্গলমহলের এই বিশেষ পর্যটন কেন্দ্রে। সরকারিভাবে এলাকার নানা উন্নয়ন করা হয়েছে, হয়েছে চকচকে রাস্তা। তবে পরিবার পরিজন নিয়ে একদিনে ঘুরে দেখতে পারেন ইতিহাসক্ষেত্র এবং উপভোগ করতে পারেন সবুজ জঙ্গলে ঘেরা দুর্দান্ত পরিবেশ।