পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের পলাশিয়া এলাকায় এমনই এক লৌকিক দেবী সুন্দরী। চারিদিকে মোটা মোটা পুরনো গাছে ঘেরা সুন্দরী দেবীর মন্দির। মন্দিরটি বেশ পুরনো না হলেও, দেবী সুন্দরীকে ঘিরে প্রচলিত নানা কথা। সবুজে ঘেরা গাছের মধ্যে লৌকিক দেবী সুন্দরীর অবস্থান। তার মন্দিরকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞান এবং বিশ্বাস মিলেমিশে এক হয়েছে। মন্দিরের পাশেই রয়েছে সুবর্ণরেখা নদী। পুরনো দিনে এই সুবর্ণরেখা নদীর করাল গ্রাসে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেত একের পর এক গ্রাম। জানা যায়, নদী ভাঙন রুখতে গাছ লাগিয়েছেন গ্রামের মানুষ।
advertisement
সুবর্ণরেখার পাড়ে জঙ্গলে ঘেরা ছিল এই জায়গা, ধীরে ধীরে জনবসতি গড়ে ওঠে। কথিত, জাগ্রত এই দেবীকে ইচ্ছে মনস্কামনা জানালে তা পূর্ণ হয়। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন দেবী সুন্দরীর কাছে। দেবীর মন্দির কে ঘিরে থাকা বড় বড় প্রাচীন গাছ কাটে না কেউই, এতে বিপদ আসতে পারে বলেই ধারণা তাঁদের। তবে মনে করা হয় নদীর ভাঙন রুখতে মোটা মোটা পুরনো গাছ কাটেন না গ্রামের মানুষ। অর্থাৎ এখানেই যেন বিজ্ঞান এবং বিশ্বাসের মেলবন্ধন আরও দৃঢ়। প্রতিদিনই দেবীর কাছে মনের ইচ্ছে জানাতে আসেন ভক্তরা। দেবীকে ফলমূলের পাশাপাশি পায়েস ভোগও দেওয়া হয়। জাগ্রত এই দেবীর মাহাত্ম্যে দূরদূরান্ত থেকে আসেন পুণ্যার্থীরা।