প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়ার দেওয়ার পাশাপাশি চরাতেও নিয়ে যেতে হয়। আর হাঁসের কাছ থেকে তিনি পাচ্ছেন ডিম এবং মাংস। ফলে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি হাঁস পালন করে লাভের কড়ি পকেটে পুরছেন। কেশিয়াড়ির বাসিন্দা ঝন্টু দাস প্রতিদিন এখান থেকে আড়াশোটি ডিম পান। যা বাজারে বিক্রি করে উপার্জন করেন। আবার হাঁস অনেকেই বাড়ি থেকে কিনেও নিয়ে যান। সেখান থেকেও মেলে অর্থ।
advertisement
আরও পড়ুন: সামান্য ঘাস বিক্রি করেই লাখপতি হচ্ছেন চাষীরা, কীভাবে চলছে ব্যবসা? জানুন
প্রতিটি হাঁস আড়াইশো টাকা করে বিক্রি করেন। হাঁসের ডিমের চাহিদাও আছে বাজারে। প্রতি পিস পাঁচ-সাত টাকায় ডিম বেচেন খড়্গপুর ও বেলদার বাজারে। লাভ কিছুটা হয় অবশ্য। তবে হাঁসকে প্রতিদিন সকাল থেকে চরাতে নিয়ে যেতে হয়। খাওয়ার দিতে হয়। বাড়ির খামার থেকে আপেপাশের খেতে ও পুকুরে চরাতে হয়। তবে এলাকায় তেমন জায়গা ও পুকুর না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। আসছে গ্রীষ্মকাল ফলে জলের অভাবে হাঁস পালনে ব্যাঘাত ঘটবে।
আরও পড়ুন: মার্চে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে ১২ দিন, তারিখ জেনে নিয়ে মিটিয়ে নিন ব্যাঙ্কের কাজ
ঝন্টু জানাচ্ছেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে দেড় বছর আগে এই হাঁস পালনের জন্য হাঁস কিনেছেন। প্রথমের দিকে প্রায় পাঁচশো হাঁস রেখেছিলেন। পরে তা কমেছে। বিক্রি করেছেন অনেক। বাড়িতে তৈরি করেছেন খামার। সেখানেই রাখেন হাঁসগুলিকে। ঝন্টু ও তার ছেলে দিলু হাঁসের দেখভাল করেন। উপার্জন জোটে ভালোই। ঝন্টু বলেন, যাদের প্রশস্ত জায়গা ও পুকুর আছে তারা অনায়াসেই হাঁস পালন করতে পারেন। এর থেকে উপার্জন করতে পারবেন। হাঁস চাষ করেই জুটবে লক্ষ্মী লাভ।
Ranjan Chanda