মৃগী হলে শিশুরা অজ্ঞান হয়ে যায়, শিশুদের মুখ একদিকে বেঁকে যায়, মুখ দিয়ে লালা পড়ে, হাত পায়ে টান ধরে। শিশুদের মৃগী বা এপিলেপসি হলে কী করণীয়? তাই জানালেন স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌশিক শীল।
পাঁচ বছরের উপরে শিশুদের তড়কা জ্বরের উপসর্গ থাকলে তার নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োজন। শিশুদের মৃগীর উপসর্গ দেখা দিলে, প্রাথমিকভাবে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে শুয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি, চিকিৎসকের পরামর্শমত বিশেষ স্প্রে নাকে দিলে তাড়াতাড়ি নিরাময় মেলে। দীর্ঘক্ষণ ধরে খিঁচুনি হলে তা প্রাণ সংশয়ের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। শিশুর দীর্ঘক্ষণ ধরে খিঁচুনি হলে দ্রুত নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। খিঁচুনি হলে মুখের মধ্যে চামচ দেওয়া যাবে না, নাকের কাছে চামড়ার জুতো শুঁকানো যাবে না, বাচ্চাদের হাত জোর করে সোজা করা যাবে না। পাশাপাশি স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ পরীক্ষা প্রয়োজন। ওষুধের মধ্য দিয়ে এই রোগ নিরাময় সম্ভব। ২১ থেকে ২২ বছরের মধ্যে ব্রেনের বৃদ্ধি ঘটলে এই রোগ সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হয়ে যায়।
advertisement
Ranjan Chanda