বর্তমানে মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলা, জেলা পরিষদ ভবনকে হেরিটেজ করার দাবি তুলেছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। স্বাধীনতার আগে ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ সরকারের আধিকারিকদের বৈঠক চলাকালীন এই জেলা পরিষদ ভবনে বিপ্লবীরা গুলি করে হত্যা করেছিলেন অত্যাচারী জেলাশাসক ডগলাসকে। নেতৃত্বে ছিলেন বাংলা দুই বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য এবং প্রভাংশু পাল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর পরেই খড়গপুর হাসপাতালে শুরু সিটি স্ক্যান ও ডায়ালিসিস
জেলাশাসককে হত্যার দায়ে ১৯৩৩ সালে ফাঁসি হয় প্রদ্যোতের। তবে বিপ্লবীদের ভয়ে আর কোন ইংরেজ শাসক জেলাশাসক হয়ে আসতে চাননি মেদিনীপুরে। ইংরেজ সরকারের স্থাপন করা সেই ভবন এখন জেলা পরিষদের বিশাল ভবন।
সেদিনের সেই ব্রিটিশ লাল বিল্ডিং এখনো প্রশাসনিক কার্যালয়। বিপ্লবীদের সেই অমর ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে জেলা পরিষদ ভবনে। জেলা পরিষদ ভবনের কাছে বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্যের পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অডিটোরিয়ামের নাম রাখা হয়েছে শহীদ প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদন।
আরও পড়ুনঃ বিশেষভাবে সক্ষমদের তৈরি রাখি মিলবে বাজারে, থাকছে নতুনত্বের ছোঁয়া
তৃণমূল সরকারের আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের দায়িত্বে ছিল বাম সরকার। তৃণমূলের সময়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা কাছেও, জেলা পরিষদের ভবনকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি করেছিলেন মেদিনীপুরের মানুষ।
তবে ২০২৩ এ জেলা পরিষদ সভাধিপতিপদে শাসকদলের পক্ষে সভাধিপতি হয়েছেন প্রতিভা মাইতি। ফের জেলা পরিষদ ভবনকে হেরিটেজ করার দাবি তুলেছেন সকলে। ইতিহাসের সাক্ষ্য বয়ে চলা পুরনো সেই লাল ভবনকে হেরিটেজ করার দাবি এবং পুরনো দিনের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করে মিউজিয়াম করার দাবি তুলেছেন প্রত্যেকে।
যাতে পরবর্তী প্রজন্ম জেলার বিপ্লবীদের কৃতিত্ব সহজে জানতে পারে এবং জেলার গৌরবকে আরও ছড়িয়ে দিতে পারে দেশ-বিদেশে, তার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে সচেষ্ট হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত সভাধিপতি। দ্রুত এই দাবি পূরণ হোক, আশা সকলের।
Ranjan Chanda