গত কয়েকদিন ধরে সেই ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করেছে জেলা কৃষি দফতর। জানা গেছে, রিপোর্ট অনুযায়ী ফসলে ক্ষতির পরিমাণ ৮৮০ কোটি টাকার বেশি! ৯৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করেছে এই অকাল বৃষ্টি (West Medinipur Jawad Effect)। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধানের। প্রায় ৭০ হাজার (৬৭ হাজার) হেক্টর পাকা ধান জলের তলায় পচেছে! ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৬১ কোটি টাকা। এছাড়াও, ১৮ হাজার হেক্টর আলু লাগানো হয়েছিল, ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টরের। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৭০ কোটি। এছাড়াও, ডাল, সরষে ও অন্যান্য সবজি মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
advertisement
প্রসঙ্গত, জেলার কৃষকরা ইতিমধ্যে কৃষি ঋণ মুকুবের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। নতুন করে ফের চাষ করার জন্য পুনরায় কৃষিঋণ দাবি করেছেন (West Medinipur Jawad Effect)। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে সমবায় ব্যাংক ও জেলা প্রশাসন। জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা দুলাল দাস অধিকারী মঙ্গলবার জানিয়েছেন, "৫ ও ৬ ডিসেম্বর জেলায় ১১০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাঠে থাকা পাকা ধান এবং আলুর প্রায় বেশির ভাগটাই জলের তলায় চলে গিয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমলের কাছে পাঠানো হয়েছে।" জানা গেছে, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৮০ কোটি টাকার।
এদিকে, গত কয়েক মাসে পরপর বন্যার ধাক্কায় এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন কৃষকরা, ফের জাওয়াদ এসে প্রায় সর্বস্বান্ত করে ছেড়েছে তাঁদের (West Medinipur Jawad Effect)! অন্যদিকে, এই ক্ষতিতে বিভিন্ন ফসলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে। ফলে, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিস্থিতি আরও করুণ হতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
Partha Mukherjee