মেদিনীপুর শহরের বটতলা চক থেকে গোলকুঁয়ার চকের রাস্তায় অনুষ্ঠিত হয় কার্নিভাল। মেদিনীপুর শহরের পুজা কার্নিভালের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ মানস ভূঁইয়া। এছাড়াও কার্নিভাল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক আয়েশা রানী, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, বিধায়ক জুন মালিয়া, অজিত মাইতি, দীনেন রায়, উত্তরা সিংহ হাজরা, মেদিনীপুর পুরসভার পুর প্রধান সৌমেন খান সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। মেদিনীপুর শহরের মোট ২০টি পুজো কমিটি অংশ নিয়েছিল এই কার্নিভালে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর শহর জুড়ে বিষাদের সুর, শুরু হল দূর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন
সূত্রের খবর বিবিগঞ্জ, অশোক নগর, রাঙামাটি, রবীন্দ্রনগর, সমাজবাড়ি (নজরগঞ্জ) খাপ্রেল বাজার, বিধান নগর প্রভৃতি পুজো কমিটি গুলি অংশ গ্রহণ করেছিল এই কার্নিভালে। ছিল পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান জানান, কার্নিভালকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পৌরসভার তরফ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, কার্নিভালকে কেন্দ্র করে খড়গপুর শহরেও উৎসাহ, উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে! পৌরসভার সামনে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয় পর্যন্ত রেলের রাস্তা জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় এই কার্নিভাল।
আরও পড়ুনঃ সমাজ ও সংস্কৃতির অবক্ষয়ের দিকটিকে স্বচ্ছতার মাধ্যমে তুলে ধরতে কাঁচের প্রতিমা গড়েছেন শিল্পী
অভিযাত্রী, তালবাগিচা সবুজ সংঘ, তালবাগিচা নেতাজি ব্যায়ামাগার, প্রেমবাজার, আদি পুজা কমিটি, বাবুলাইন সহ ১১টি কমিটি এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করেছিল খড়্গপুরের কার্নিভালে। সাধারণ মানুষের দেখার জন্য লাগানো হয়েছিল ৬টি এলইডি টিভি। উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পুজা কমিটি শোভাযাত্রা সহকারে নিজেদের থিম বা বিষয়বস্তু নিয়ে পারফরম্যান্স তুলে ধরে বিচারকদের সামনে। কোভিড অতিমারী, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব, ক্রীড়া, পরিবেশ প্রভৃতি একাধিক বৈচিত্র্যময় বিষয় তুলে ধরা হয় এই পূজা কার্নিভালে।
Partha Mukherjee