পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপক জাঁকজমক করে মনসা পুজো হয়। মূলত জকপুরে এই মনসা পুজো উপলক্ষে বিশাল বড় মেলা বসে। বহু দূর থেকে এই মেলা দেখতে আসে মানুষ। বহু যুগ ধরে মনসা পুজো উপলক্ষে জকপুরের এই মেলা চলে আসছে। এই মেলায় দর্শনার্থীরা যাতে ভালোভাবে আসতে পারেন তার জন্য মেলা কমিটি রেলের কাছে অনুরোধ করেছিল, মঙ্গলবার সবকটি ট্রেন যেন জকপুর ও মাদপুর স্টেশনে দাঁড়ায়। রেল কর্তৃপক্ষ সেই অনুরোধ মেনে নিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রামকে মহামারির হাত থেকে বাঁচাতে জোড়া মুরগি ও হাঁস দিয়ে সাংসারি দেবীর পুজোয় মেতেছে গোর্খারা
জকপুরের এই মনসা মেলা ২০০ বছরের বেশি পুরনো। জকপুরের মহিষা-গোটগেড়্যা গ্রামের মনসা পুজো ঘিরে এই ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিহার, ওড়িশা থেকেও বহু মানুষ এই মেলায় যোগ দিতে আসেন। সামনেই রেল লাইন থাকায় এবং সেখান দিয়ে অনবরত ট্রেন চলাচল করায় এই ভিড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। মেলার দিন রেল লাইনের উপর দিয়ে প্রতিমুহূর্তে হাজার হাজার মানুষ পার হন। আর তাই মেলা কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় দুটি স্টেশনে সবকটি ট্রেন থামানোর অনুরোধ করা হয়।
এই বিষয়ে রেলওয়ের খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজেশ কুমার বলেন, ওই এলাকার মানুষ আবেদন করেছিল। তাতে রেল বোর্ডের অনুমতি নিয়ে অস্থায়ীভাবে প্রতিটি লোকাল ট্রেন বেলা ২ টো থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জকপুর ও মাদপুর স্টেশনের দাঁড় করানো হবে।
এদিকে মঙ্গলবারের মনসা মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর আছে পুলিশও। ইতিমধ্যেই মেলা কমিটির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তার যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মেলার মাঠের সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশকর্মী।
রঞ্জন চন্দ






