সংস্থার পক্ষে শিবু রানা ও রিমা কর্মকার বলেন, প্রধান বিষয় গুলির মধ্যে মূল বিষয় হল, কুকুরদের উপর অত্যাচার মানুষের দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে এবং নানান রকম ভাবে তাদেরকে প্রানে মেরে ফেলা হচ্ছে সকলের অজান্তেই।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে পথের কুকুরকে বিষ দিয়ে মারা হচ্ছে এবং এই ঘটনাটা বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে মেদিনীপুর খড়গপুর শহর জুড়ে। অপরাধীকে ধরতে পারছিনা বলে পুলিশের দিক থেকেও সেরকম কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি অ্যাসিড দিয়ে কুকুরকে মারা হচ্ছে। লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে, গরম জল ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে গায়ে এবং গ্রামাঞ্চলের বিশেষ করে তীর দিয়ে মারা হচ্ছে।
advertisement
তার পাশাপাশি, যারা এর প্রতিবাদ করছে বা স্থানীয় মানুষ যখন কুকুরের দেখাশোনা করছে তারা যখন প্রতিবাদ করতে যাচ্ছে তখন অপরাধীরা তাদের উপর চড়াও হচ্ছে এবং চরম নোংরা অকথ্য ভাষায় তাদের গালিগালাজ, সামাজিক ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও তাদেরকে এক ঘরে থাকার হুমকিও পর্যন্ত দেওয়া হয়। তার পাশাপাশি অ্যানিমেল এর উপরে যে আইন আছে সেই আইন সেরকম ভাবে কার্যকরী নয়। যার কারণে মানুষ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক অন্যায় করে যাচ্ছে এবং তার পাশাপাশি যে আইপিসি ধারা গুলি লাগু আছে সে গুলি সেভাবে প্রয়োগ হচ্ছেনা।
আরও পড়ুন : সেলসম্যান থেকে কোটিপতি! অরুণ স্যামুয়েলের গল্প হার মানাবে সিনেমাকেও
আরও পড়ুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অমরনাথে জারি উদ্ধারপর্ব
শিবু বাবু বলেন রাজ্য প্রাণী স্বাস্থ্য আধিকারিক এর সঙ্গে আমরা দেখা করার জন্য চেষ্টা করছি। তাদের সাথে কথাবার্তা বলে আমরা আমাদের দাবি রাখতে চাই, যে পশু চিকিৎসালয় গুলিতে যেন উপযুক্ত পরিকাঠামোর তৈরি করা হয় এবং পরিষেবা যেন সুষ্ঠুভাবে দেওয়া হয়। যাতে কুকুর বিড়াল সহ অন্যান্য প্রাণীরা সঠিক চিকিৎসা পায় এবং সমাজের পাশাপাশি সামাজিক ভবে তারা যেন সুস্থ থাকে। একই সাথে আগামী দিনে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নিয়ে পদযাত্রার মাধ্যমে সাধারন মানুষকে কুকুরকে মারলে যে আইনের মাধ্যমে শাস্তির বিধান রয়েছে, সেবিষয়ে সাধারন মানুষকে অবগত করার লক্ষ্যে।
Partha Mukherjee