নারায়ণগড়ের কাশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মারকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা মধু নায়েক। জঙ্গল থেকে নানা ঘাস, খেজুর পাতা দিয়ে ঘর সাজানোর নানা জিনিস তৈরি করেন মধু। বনের নানা ঘাস, খেজুর পাতা দিয়ে ঘর সাজানোর নানা উপকরণ বানাচ্ছেন তিনি। যা সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। শুধু তাই নয় হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণও দেন তিনি। তবে সেই শিল্পীই থাকেন একচালা মাটির বাড়িতে।
advertisement
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে ১০০ গোপালের প্রতিযোগিতা! কে হল প্রথম? দেখুন ভিডিও
সাংসারিক অনটন, অর্থের অভাব থাকলেও হাসিমুখে শিল্প সত্তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড়ের শিল্পী। প্রত্যন্ত লোধা জাতিভুক্ত এলাকা থেকে উঠে এসে জেলা তথা রাজ্যবাসীর কাছে সমাদৃত হলেও এখনও তিনি অনাদরেই রয়েছেন।
ছোট থেকে বাড়িতে বন জঙ্গলের নানা জিনিসপত্র দিয়ে মায়ের হাতে বানানো জিনিস দেখে দেখেই বড় হয়েছেন মধু। পরবর্তীতে ঘাস ও খেজুর পাতা দিয়ে প্রায় ৬০০টি ঘর সাজানোর উপকরণ তৈরি করেন মধু নায়েক।
রাজ্য সরকারের সবলা মেলা কেন্দ্র সরকারের নানা অনুষ্ঠানে নিজের পসরা নিয়ে প্রদর্শন ও বিক্রি করেছেন মধু। তবে সে অর্থে তাঁর ব্যবসার কিংবা পারিবারিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেনি। এখনও ছোট্ট একচালা ছিটে বেড়া বাড়িতে পরিবার পরিজনদের নিয়ে দিন কাটান হস্তশিল্পী মধু নায়েক। প্রতিদিনই বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে বাজারে ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করে জীবনের জীবিকা নির্বাহ করেন।
কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে? মাথার উপর একচালা খড়ের ঘর পেটে খিদে নিয়ে চলতে পারে কি শিল্প-কর্ম? প্রশ্ন মধু নায়কের।
Ranjan Chanda