পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের পানিথুপিয়ার বাসিন্দা অসীম কুমার দে। সালটা ১৯৭৩ কিংবা ৭৪ । তখন খুব অল্প বয়স অসীম বাবুর। গ্রামীণ যাত্রাদলে গান এবং অভিনয় করতেন তিনি। তবে পরিবারের আর্থিক অভাবের জন্য ছেড়ে দিতে হয় যাত্রাপালা গান। শুরু হয় জীবন যুদ্ধে লড়াইয়ের কাহিনী।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ির খাবারে আস্ত টিকটিকি! সেদ্ধ হয়ে ফুলেফেঁপে ঢোল, ভয়ানক পরিণতি ৩০ শিশুর
advertisement
আরও পড়ুন-দু’বছর কোনও খোঁজ নেই, হারানো মাকে ফিরে পেল সন্তানরা, কীভাবে জানলে অবাক হবেন!
যখন তিনি ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণীতে পড়তেন, তখন গ্রামীণ এলাকায় হওয়া যাত্রাপালা গান থেকে শিখেছেন গান গাওয়া। ঘরে সংস্কৃতি চর্চা থাকলেও তিনি লুকিয়ে যেতেন যাত্রাদলে গান করতে। তবে সেই দীর্ঘ ৫০ বছর আগে তিনি যাত্রাদলে হয়ে উঠেছিলেন সুপারস্টার। বাড়িতে স্ত্রী ছেলের সংসার। সংসারের হাল ধরতে চাষবাসই ভরসা। অভাব অনটনের মধ্যে পড়ে গান, নাচ সংস্কৃতি অচিরে ইতিহাসে পরিণত হয়। এখনও কানে বাজে পুরনো দিনের যাত্রা গানের সুর। তবে আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। সে দিনের কুমার অসীম আজ বৃদ্ধ অবস্থায়। যাত্রাপালা গান বেঁচে থাকুক এটাই আর্জি।
রঞ্জন চন্দ