পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরের খয়রুল্লা চকের বাসিন্দা সুপ্রভাত কর, ওরফে রাজু। মায়ের ওষুধের খরচ জোগাড় করতে রাজু মুখোশের আড়ালে চলে নিরন্তর লড়াই। সুপ্রভাত মেদিনীপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়ার খরচ সঙ্গে সংসার চালাতে ও মায়ের ওষুধের টাকা জোগাড় করতে কটুক্তি এড়িয়ে অনুষ্ঠানে কার্টুন সেজে সামাজিক অনুষ্ঠানে মানুষকে আনন্দ দেন রাজু।
advertisement
খুব ছোটবেলায় ছেড়ে গিয়েছে বাবা। মায়ের দুরারোগ্য ব্যধি। রাজু যখন অষ্টম শ্রেণীতে তখন থেকেই পড়ার খরচ জোগাতেই পাড়ার এক কাকুর সঙ্গে চলে যায় বিয়ে বাড়িতে কার্টুন সাজতে। প্রথমদিনে অনেক রাত্রিতে ফিরে আসায় বকুনি খেতে হয় মায়ের কাছে। এরপর আর রাজু থেমে থাকেনি। মায়ের ওষুধ কিনতে, সংসার চালাতে সঙ্গে পড়া খরচ জোগাতে কার্টুন সাজাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে সে।
পড়াশোনা শেষ করে সন্ধ্যে হলেই রাজু বেরিয়ে যায় বিয়ে বাড়ি,অনুষ্ঠান বাড়ি সহ বিভিন্ন র্যালি, অনুষ্ঠানে কার্টুন সাজতে। কখন মিকি মাউস তো কখনো স্পাইডারম্যান। কখনও বা মুখোশ পরে নয়া লালির রূপে অবতীর্ণ হয়েছে সে।এই তীব্র গরমে কার্টুনের মোটা পোশাক পরে সে মানুষকে মনোরঞ্জন দেয়। নিজে প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এলাকার ছেলেমেয়েদের নিয়ে তৈরি করেছে কার্টুন এর গ্রুপ।
এলাকায় রাজু এখন স্বনির্ভর করেছে এলাকার তরুণ প্রজন্ম কে। যদিও রাজুর ভবিষ্যতের ইচ্ছা ভিন্ন চরিত্রের পোশাক নিয়ে একটি নিজস্ব দল গঠন করা। যে দলে থেকে নতুন দিশা পাবে সকলে এবং স্বনির্ভর করে তুলবে এলাকার মানুষজনকে। সংসার চালাতে, মায়ের ওষুধ ও পড়াশুনা চালাতে দিনের পর দিন লড়াইকে কুর্নিশ জানায় সকলে।
Ranjan Chanda