উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংসদের কড়া নির্দেশিকার পাশাপাশি রয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। তবে এইসব এড়িয়ে যদি কোন পরীক্ষার মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন, তা জানতে ব্যবহার করা হবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর। যদিও এই আরএফডি প্রত্যেক কেন্দ্রে ব্যবহার করা হচ্ছে না। বিশেষভাবে স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে আরএফডি ব্যবহার করা হবে, এমনটাই জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বলা চলে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে নানান রকম পদক্ষেপ করেছে সংসদ। যার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তার দিকে যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া রুখতে এবং নকল করা রুখতে কঠোর মনোভাব নেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: হেলথ ড্রিংক, জুতো, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট চাইছেন কারখানার শ্রমিকরা! কারণ ভয়াবহ
ইতিমধ্যেই উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম ভাষা এবং দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা হয়েছে। দু একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তেমন কোনও বাজে খবর প্রকাশ্যে আসেনি। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অতীতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে যেভাবে নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি আর যাতে না হয়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যার প্রতিফলন স্কুল স্তরের পরীক্ষায় রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি ডিটেক্টর এর ব্যবহার। যা পরীক্ষার নিরাপত্তা আর জোরদার করছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রাজ্যেই প্রথমবার কোন স্কুল স্তরের পরীক্ষায় ব্যবহার করা হচ্ছে আরএফডি।
Nayan Ghosh