মন্দিরে দেবীর আদি যে মূর্তিটি রয়েছে, সেটি গর্ভগৃহে রাখা থাকে। পুজোর চার দিন এখানে জাঁকজমক থাকে দেখার মত। পুজোর বিশাল আয়োজন করা হয়। চারদিন ধরে খাওয়ানো হয় ভোগ। তবে সন্ধিপুজো এই মন্দিরের বিশেষ আকর্ষণ। যদিও সারা বছরই নিত্য পুজো হয়। সারা বছরই থাকে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা। তবে পুজোর কয়েকটা দিন আয়োজন থাকে অনেকটা আলাদা।
advertisement
আরও পড়ুন: করিডর সেই বর্ধমান, স্টেশনে সন্দেভাজন যুবকের ব্যাগ খুলতেই পুলিশের চোখ ছানাবড়া!
মন্দিরে গেলে শুধু পুজো উপভোগ করতে পারবেন এমনটা নয়, প্রাণ ভরে নিতে পারবেন সতেজ শ্বাস। গভীর জঙ্গলে মধ্য দিয়ে সরু মাটির রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে হবে মন্দিরের উদ্দেশ্যে। একটু অসাবধান হলেই হারিয়ে ফেলতে পারেন রাস্তা।
আরও পড়ুন: ‘চারটে মন্ত্রিত্ব নিয়ে বসেছিলেন, তখন বলেননি কেন?’ দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন অভিষেকের
জঙ্গল মন্দিরের সংলগ্ন এলাকায় এতটাই গভীর, যে সূর্যের আলো সব সময় ভালভাবে পৌঁছয় না। জঙ্গলের নিজস্ব আওয়াজ এখানে আপনি শুনতে পাবেন। সবমিলিয়ে দুর্গাপূজায় যেমন ঘোরা হবে, তেমন ভাবে উপভোগ করা হবে প্রকৃতিকেও।
গাড়িতে যাওয়া সুবিধাজনক, গাড়ি না থাকলে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া হয়ে মলান দীঘি পৌঁছতে হবে সেখান থেকে টোটো অথবা অটো রিজার্ভ করে আপনি পৌঁছোতে পারবেন, স্থানীয় কাউকে গাইড হিসেবে নেওয়া ভাল কারণ গভীর জঙ্গলের মধ্যে রাস্তা। তাই যে কোনও সময় সমস্যায় পড়তে পারেন। এখানে রাত্রে থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই, তাই সন্ধ্যে নামার আগেই মন্দির এবং জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে।
Nayan Ghosh