আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন সুরুল রাজবাড়ির পুজোয়, ইংরেজের হাত ধরে ‘ঘোষ’রা হন ‘সরকার’
যারা ২২ শে শ্রাবণ দেখেছেন তাঁরা প্রথম দেখায় এই বাড়িটির বর্তমান অবস্থার সঙ্গে পর্দায় দেখা বাড়ির ছবি চট করে মেলাতে পারবেন না। কারণ যে সময় ওই সিনেমার শুটিং হয়েছিল তখনও এই বাড়ির যৌবন বেঁচে ছিল। যদিও তারপর থেকে আর দেখাশোনা প্রায় হয়নি বললেই চলে। তাই কালের নিয়মে বৃদ্ধ হতে হতে বাড়িটি এখন নিজের আয়ুর শেষ সীমায় এসে পৌঁছেছে। তবে ভাল করে বাড়িটিকে লক্ষ্য করলে এই বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে নিজেকেই হয়ত ২২ শে শ্রাবণ ছায়াছবির এক চরিত্র বলে মনে হবে!
advertisement
মানকর কবিরাজ বাড়ির সুনাম একটু ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করলেই জানা যায়। সেই কবিরাজ বাড়ি এখনও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও বাড়ির বেশিরভাগ অংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে বাড়ির মূল যে ঠাকুর দালান সেটি এখনও আগের মতই দাঁড়িয়ে আছে। তবে তার অবস্থা বেশ খারাপ। কিন্তু ওই ঠাকুরদালানেই গত ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। এবারেও যথারীতি পুজো হচ্ছে।
এই পুজোয় চাইলে আপনি মানকর কবিরাজ বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। বেশ ভাল লাগবে, মনে হবে ইতিহাসের সঙ্গী হলেন। বছরের যে কোনও সময়ই এখানে আসা যায়। তবে দুর্গাপুজোর সময় যেন প্রাণ ফিরে পায় এই প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি। যদিও পুজো মিটলেই আবার সেই শূন্যতা গ্রাস করে গোটাবারিকে। বছরের অন্যান্য সময় এলে হয়ত দরজা খোলা নাও পেতে পারেন। তবে বাইরে থেকে এই বাড়িটিকে দেখলেও প্রাপ্তি খুব কম কিছু হবে না। কলকাতা থেকে ট্রেনে মানকর অথবা বাসে বুদবুদ পৌঁছে টোটো ধরে খুব সহজেই কবিরাজ বাড়ি পৌঁছে যাবেন। তবে মনে রাখবেন এখানে রাত্রিবাসের সুযোগ নেই। তাই একদিনেই ঘুরে দেখার পরিকল্পনা রাখা ভাল।
নয়ন ঘোষ