আর অনেক আইন বিশেষজ্ঞ এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই বলছেন, এই মেডিকেল রিপোর্ট অনেক বিপদ বাড়িয়ে দিল গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতার। কারণ তৃণমূল নেতার আইনজীবী বারবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতে। যা খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই রিপোর্টের পর জামিন পাওয়া আরও কিছুটা মুশকিল হল বলেই মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, এদিন সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের মূল ফটক দিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের দিকে রওনা দেন অনুব্রত মন্ডল।
advertisement
তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোলে পুলিশের ৬ টি গাড়ি প্রস্তুত ছিল। পথ বদলে শহরের ব্যস্ততম রোড প্রায় খালি করে ব্যাপক নিরাপত্তায় হটন রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে জেলা হাসপাতালে প্রশাসনের অতি সতর্কতায় বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। হাসপাতালের এমার্জেন্সির গেটে পুলিশের মোতায়েন থাকার ফলে বন্ধ হয়ে পড়ে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের যাওয়া আসা। তখন বেশ কিছু রোগীর পরিবার-পরিজন নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এদিন দীর্ঘ ৪৫ মিনিট স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলকে ফের সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও হাসপাতালে আসা এবং যাওয়ার পথে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি তিনি।
আরও পড়ুনঃ খবরের জের! মশা নাশক স্প্রে হচ্ছে কুমারডিহিতে
এই বিষয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, বিশেষ কোনও সিরিয়াস সমস্যা নেই। এমার্জেন্সি বিভাগ ছাড়াও মেডিকেল এবং সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা মেডিকেল টেস্টে হাজির ছিলেন। তারা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে মেডিকেল এমার্জেন্সি নেই তৃণমূল নেতার। নেই সার্জারির এমার্জেন্সি। তিনি এও বলেন, অনুব্রত মন্ডলের চিকিৎসার কারণে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার সমস্যার কোনও অভিযোগ ও আসেনি। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষার জন্য ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ জয়ের আনন্দে সবুজ আবির মেখে বিজয়োল্লাসে সামিল বিধান
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অনুব্রত মণ্ডলের জেলে সব রকম ওষুধ এবং শ্বাসকষ্ট প্রশমনের যন্ত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। সেইসঙ্গে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশও দেন। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদআসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। সেখানে নাক-কান-গলা, হাড়, মেডিসিনের বিশেষজ্ঞএবং শল্য চিকিৎসকরা ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, একটি শয্যাও প্রস্তুত করা ছিল তার জন্য। হাসপাতাল চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
Nayan Ghosh





